পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গত এক মাসে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-মহিপুর বাজারের দর্জি দোকানদার শিশির দাস ও লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী উবাচো রাখাইন।
তারা কয়েক দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
গত ১২ অক্টোবর লতাচাপলী ইউনিয়নের সুমাইয়া (২৫) নামের এক নারী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর দুই দিন আগে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
একই দিন মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রামের সাফিয়া বেগম (৩০) নামের আরেক নারী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে আলীপুরের একই পরিবারের তিনজন ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত উদ্যোগ না নিলে মহিপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যেতে পারে।
লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের নুরজামাল ফকির ও মিশ্রীপাড়া গ্রামের হাবিব ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এর আগেও ডেঙ্গুতে মারা যান। গত ১৩ অক্টোবর একই এলাকায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে মহিপুর, আলীপুর ও আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এসব এলাকায় শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, মহিপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
স্থানীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনে স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে বাড়িঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরপি/টিকে