আগামী ১৫ নভেম্বর জর্জিয়া ও ১৯ নভেম্বর তুরস্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্পেন। তবে মাঠে নামার আগে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে তারা। জর্জিয়া ও তুরস্ক ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন লামিন ইয়ামাল।
জানা গেছে, বার্সেলোনা নাকি স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে কিছু না জানিয়েই ইয়ামালের ওপর ‘ইনভেসিভ রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ট্রিটমেন্ট’ পরিচালনা করেছে!
সোমবার (১০ নভেম্বর) ক্যাম্প শুরু হওয়ার দিন সকালে বার্সা চিকিৎসকেরা ইয়ামালের পিউবিক ইনজুরির চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে ফেডারেশনের মেডিকেল টিমকে জানানো হয় শুধুমাত্র রাত ১০টা ৪০ মিনিটে
লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বলা হয়, খেলোয়াড়কে অন্তত ৭–১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। তাই জাতীয় দলের ডাক থাকা সত্ত্বেও স্পেন মেডিকেল বিভাগ ইয়ামালকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে—খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো পূর্ববার্তা ছাড়াই এমন ইনভেসিভ চিকিৎসা করায় আমরা বিস্মিত ও অস্বস্তিতে পড়েছি।
তবে বার্সেলোনার এই পদক্ষেপে ফেডারেশনের ভেতরে ক্ষোভ স্পষ্ট। বিবৃতিতে সরাসরি ক্লাবের নাম না থাকলেও বার্তাটা যে তাদের উদ্দেশেই, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ঘটনার পর স্পেন দলে বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক যে আরও তলানিতে ঠেকল, তা বলাই যায়। সেপ্টেম্বরেই শুরু হয়েছিল এই টানাপোড়েন, যখন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক অভিযোগ তুলেছিলেন যে জাতীয় দলের কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে ইয়ামালকে যথাযথভাবে রক্ষা করছেন না। এখন আবারো সেই খেলোয়াড়কে ঘিরেই তৈরি হলো নতুন সংঘাত।
জাতীয় দলের একাধিক সূত্রের মতে, তারা বুঝতে পারছে না কেন বার্সেলোনা এমন চিকিৎসা করল, যখন স্পষ্টই জানা ছিল যে, এতে ইয়ামাল কয়েকদিন খেলতে পারবেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্প্যানিশ ফেডারেশন ও বার্সেলোনার সম্পর্ক কার্যত ‘ভেঙে গেছে’ বলেই ধরা হচ্ছে।
আইকে/টিএ