লিওনেল মেসি আর বার্সেলোনা একটা সময় সমর্থক মনে হতো। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে ছাড়া কাতালান ক্লাবটিকে মাঠে দেখার কল্পনা করাটা কঠিনই ছিল। কেবল মেসিকে ঘিরেই স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির অনেক সমর্থক তৈরি হয়। তবে সেই অধ্যায়ের এক করুণ সমাপ্তি ঘটে। নিজেদের ইতিাহসের সেরা ফুটবলারকে একরকম সাদামাটা বিদায়ই দেয় বার্সেলোনা। সেই স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় মেসিকে। প্রাণপ্রিয় ক্লাব থেকে বিদায় নেওয়া এখনো মানতে কষ্ট হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের।
সম্প্রতি সবাইকে চমকে দিয়ে হুট করে নিজের চিরচেনা আঙিনায় চুপিসারে ঘুরে যান মেসি। তবে এভাবে তো নিজের ‘ঘরে’ সফর করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না সাবেক বার্সা তারকার। ক্যারিয়ারে অসংখ্য মধূর স্মৃতি তৈরি করেছিলেন যেখানে, হঠাৎ সেই ঘাসের ছোঁয়া পেয়ে কেমন লাগছে মেসির ?
রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ট’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপ্রত্যাশিত ফেরার অনুভূতি নিয়ে কথা বলেন। ইন্টার মায়ামির তারকা মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘নতুন স্টেডিয়ামে ফিরে যাওয়া এবং এটি দেখার বিষয়টি একটু অদ্ভুত লাগছে, কারণ শেষবার যখন দেখেছিলাম অনেক দিন আগের কথা। সব কিছু মনে করে, যা কিছু ঘটেছে, তা পুনরায় অনুভব করা রোমাঞ্চকর হবে, যদিও স্টেডিয়াম এখন পাল্টে গেছে। আমি যেভাবে ক্রমাগত ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞ এবং কৃতজ্ঞতাই জানাই।’
নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বার্সা ছাড়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসি, “ক্লাব ছাড়ার পর আমার মধ্যে অদ্ভুত অনুভূতি হয়। সব কিছু যেভাবে ঘটলো, সেই জন্য; শেষ কয়েকটি বছর করোনা মহামারীর কারণে দর্শক ছাড়া খেলেছিলাম। আমি যেভাবে বিদায় নেবো ভেবেছিলাম, যেভাবে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেভাবে হয়নি।"
পুরো ফুটবল ক্যারিয়ার বার্সাতেই শেষ করতে চেয়েছিলেন মেসি, ‘যেমন বলেছি, আমি চাইতাম আমার পুরো ক্যারিয়ার ইউরোপে, বার্সেলোনায় কাটাতে, এবং তারপর এখানে আসতে, যেভাবে আমি আসলাম, কারণ সেটি ছিল আমার পরিকল্পনা, যা আমি চাইতাম। বিদায়ও অদ্ভুত ছিল, পরিস্থিতির কারণে, সবকিছুর কারণে। তবে, আমি মনে করি ভক্তদের ভালোবাসা সবসময় থাকবে।’
বার্সায় ফেরা নিয়ে স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকোজ্জুর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা বলেন মেসি, ‘আমি সত্যিই সেখানে ফিরে যেতে চাই, আমরা বার্সেলোনাকে অনেক মিস করি। আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানরা বারবার বার্সেলোনা এবং সেখানে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি। আমাদের সেখানে বাড়ি আছে, সব কিছু আছে, তাই সেটিই আমাদের ইচ্ছে। স্টেডিয়াম শেষ হলে ফিরে যেতে আমি সত্যিই আগ্রহী।’
টিএম/এসএন