তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলে কাজটা এগিয়েই রেখেছিলেন অমিত মজুমদার ও সৌম্য সরকার। অমিত না পারলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের মতো হাফ সেঞ্চুরি পেলেন দ্বিতীয় ইনিংসেরও। সৌম্যর ৭১ রানের ইনিংস খেলোর দিনে ৭ চার ও এক ছক্কায় শেখ মেহেদী করেছেন ৪৯ বলে অপরাজিত ৫০ রান। অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ৫ উইকেটের পরও চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম তিন রাউন্ডে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়।
ভিন্ন আরেকটি ম্যাচে জয়ের সুযোগ ছিল রাজশাহী বিভাগের। জিততে হলে শেষ দিনে ২৪১ রান করতে হতো তাদের। বিপরীতে বরিশাল বিভাগের দরকার ছিল ১০ উইকেট। কাজটা সহজ না হলেও শেষ পর্যন্ত করি দেখিয়েছেন বরিশালের বোলাররা। বিশেষ করে তানভীর ইসলাম ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া বাঁহাতি স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসের আরও চারটি।
তানভীরের সঙ্গে ইয়াসিন আরাফাত মিশুর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫৪ রানের জয় পেয়েছে বরিশাল। চলতি প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তানভিরের দল।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ৫২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সৌম্য ও অমিত। দারুণ ব্যাটিংয়ে সকালের শুরুতেই ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেও ৮৬ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন অমিত। খুলনার রান একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন সৌম্য। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ বলে ৭১ রান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১১৯ বলে ৯২ রান। সৌম্য আউট হওয়ার একটু পর ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়ও।
ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। বিজয় ৯ ও খুলনার অধিনায়ক আউট হয়েছেন ২ রানে। ইয়াসিন মুনতাসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান। দলের রান দেড়শ ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন শাহরিয়ার সাকিবও। ৪৩ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। তবে সেখান থেকে তাদের রক্ষা করেন মেহেদী ও নাহিদুল ইসলাম। তাদের দুজনের ব্যাটেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়। নাহিদুল ২২ রানে ফিরলেও মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ৫০ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট নেন নাঈম।
জিততে হলে শেষ দিনে ২৪১ রান করতে হতো রাজশাহীকে। সাব্বির হোসেনের দলের হাতে ছিল ১০ উইকেট। তবে সেটা করে দেখাতে পারেননি সাব্বির, মিজানুর রহমান, প্রিতম কুমার, শাখির হোসেন শুভ্ররা। বিনা উইকেটে ৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাব্বির ও মিজানুর। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন ইয়াসিন আরাফাত। ৪৯ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন সাব্বির। একটু পর ২৫ রানে ফিরেছেন মিজানুর। একই ওভারে ইমন আলী ও শুভ্রর উইকেট নিয়ে রাজশাহীকে চাপে ফেলেন তানভীর।
রাজশাহীর রান একশ ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন প্রিতম, সানজামুল ইসলামও। ভালো শুরু পেলেও ৪৭ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি সাব্বির রহমান। শেষের দিকে রহিম আহমেদ ৩৩, নিহাদ উজ জামান ২৯ ও আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ ১৪ রান করলেও ১৯১ রানে থামতে হয় রাজশাহীকে। তানভীর ও ইয়াসিন আরাফাত চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়েই ৫৪ রানের জয় পেয়েছে বরিশাল। একটি হার ও একটি ড্রয়ের পর জয়ের দেখা পেল তারা।
টিজে/টিএ