রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, একটা জটিল অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ যাচ্ছে। এনসিপি গণভোট আগে হবে না জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে হবে সেই বক্তব্যের ব্যাপারে ফ্লেক্সিবিলিটি দেখালো। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ তারা দ্রুত দেখতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরনের আদেশ কে দিতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী না রাষ্ট্রপতি? পরের প্রশ্ন হচ্ছে করিডরে আলোচনা আছে, এইসব দলগুলো যত দাবি করুক না কেন তারা এখনো নির্বাচনী সমঝোতার একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই চেষ্টার ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হবে কেউই বলতে পারেন না। তবে নির্বাচনকে ঘিরে একটা চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে এবং নেপথ্যে থাকা মানুষগুলো বেশ সক্রিয় সেটা গত কিছুদিনের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঘোর অমানিশ।
এই অমানিশার মধ্যেই কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছেন। কেউ কেউ নিজেদের শক্তিকে সংহত করার চেষ্টা করছেন। বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিছু কথাবার্তা আমরা শুনেছি। বিশেষ করে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, অদক্ষ শাসনের কারণেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
কিন্তু শাসনের এই অদক্ষতাটা যদি ভারত আরো আগে বুঝতো সেটা তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর হতো।
জিল্লুর বলেন, গণতন্ত্রের ধারাটা চর্চা করলে আওয়ামী লীগ তার দুরবস্থার মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবার একটা চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু অবশ্যই সেই যাত্রা তাদের শুরু করতে হবে অনুসূচনা ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। যে অন্যায়, অবিচার, অপকর্ম তারা করেছে দল হিসেবে দলের সব নেতাকর্মী তার দায় নেবেন এমনটা আমরা বলি না কিন্তু এই দায় তাদেরকে নিতে হবে।
জিল্লুর আরো বলেন, জামায়াত খুব শক্ত অবস্থানে, তারা এখনও পর্যন্ত বলছে যে, সংবিধান সংস্কারের যে আদেশ জুলাই সনদের বাস্তবায়ন সেটা দিতে হবে।
এনসিপিও সেটা বলছে দ্রুততার সঙ্গে এবং জামায়াত এটাও বলছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে।
টিএম/এসএন