সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তারা প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নাম মুছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু গত ১৪ মাস ধরে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগের যে নেতিবাচক দিক, কিংবা শেখ হাসিনার ভীতি, তার বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার আতঙ্ক ক্রমশ: বেড়ে যাচ্ছে।’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যেকোনো একটা নেতা বক্তব্য দিক, সঙ্গে সঙ্গে সেটা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।
হয়তো সেই বক্তব্যের আগা নেই মাথা নেই, কোনো প্রয়োজন নেই। আমি নাম বললাম না, সেদিন দেখলাম যে আওয়ামী লীগের এক নেতা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মদ খেয়ে মদ খেয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় তিনি থ্রেট দিচ্ছেন। ১৩ তারিখ এটা করবো ওটা করবো। আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রীকে আমি দেখলাম লন্ডন থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন।
এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান একেবারে অসুস্থ অবস্থায় বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেই লন্ডন থেকে; তার সেই বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তিনি সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছেন ১৩ তারিখে এটা করবো, ওটা করবো। আর আমরা সবাই বাংলাদেশে বসে ভয় পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মাসের মধ্যে প্রথম ছয়-সাত মাস শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো বলেছেন, এগুলো বলতে গেলে তার যে আবহমান বাংলার যে স্বাভাবিক চরিত্র যেটা, শেখ হাসিনার ইউজুয়াল ক্যারেক্টারিস্টিকস; সেটাই তিনি আগে এভাবে কথাবার্তা বলেছেন।
কিন্তু লক্ষ্য করুন, গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি এখন আর যার তার সঙ্গে কথা বলছেন না। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এখন তিনি অনেক পরিমার্জিত এবং তিনি সহজলভ্য নন।’
রনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের মধ্যে এখন একটা ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। আওয়ামী লীগ লগি বৈঠার মতো নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে।
প্রকাশ্য রাজপথে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মেরেছে তারা। তারা যেভাবে রামদা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে, এরপর আপনি যখনই আওয়ামী লীগের কথা চিন্তা করবেন আর ওই ধরনের একটা বড় রামদা আসছে এবং আপনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মারামারি করবেন; সংগত কারণেই আপনার ভয় লাগবে। এই ভয়টাই হলো আওয়ামী লীগের এখন মূল শক্তি।’
‘সে দূরবর্তী স্থান থেকে যত বেশি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারবে, ততটাই তাদের সফলতা। যতই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের দিন এগিয়ে আসছে, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসছে, নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে যত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে, ততই বেশি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পলিসি সেটা তারা ব্যবহার করছে। এবং সেই পলিসি করে তারা বারবার বিজয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত হয়নি।’
এমকে/এসএন