ডেনমার্কের অর্থায়নে ছয় হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি জানান, টার্মিনাল ক্যাপাসিটি হবে আট থেকে ১০ লাখ কন্টেইনার, যা বর্তমান ক্যাপাসিটির থেকে অনেক বেশি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, লালদিয়া পিপিপি প্রজেক্ট ৩০ বছরের। এটা করতে তিন বছরের মতো সময় লাগতে পারে৷ আমরা ডেনমার্ককে একটা ফাঁকা সবুজ একটা মাঠ দিচ্ছি। চুক্তির পরও মালিকানা আমাদের হাতেই থাকবে।
আশিক চৌধুরী বলেন, পোর্টে যেহেতু করাপশন একটা বিগ ইস্যু, ডেনমার্ক কোম্পানি করাপশন লেসের ক্ষেত্রে বিখ্যাত। আমরা আশা করছি ওর্য়াল্ড ক্লাস পোর্ট তারা প্রোভাইড করবে৷ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্তমান জাহাজের থেকে দ্বিগুণ জাহাজ পোর্টে ভিড়তে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরির জাহাজ ভেড়ার ক্ষেত্রে সময় লাগে। একটা পোর্ট করার ফলে সময় ইস্যু অনেক কম যাবে।
তিনি জানান, ডিসেম্বরে কাজ শুরু করলে ২০২৯ সালে এটা আমরা শেষ করতে পারবো। এটার সঙ্গে সাইন করার সঙ্গে সঙ্গে তারা (ডেনমার্ক) আমাদের ২৫০ কোটি টাকা দেবে। এই পোর্ট থেকে আমরা যে রিটার্ন পাবো, সেটা অন্য পোর্টের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
এটা বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রজেক্ট জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের প্রজেক্ট সফল করা বেশ কঠিন। লালদিয়া প্রজেক্ট যেভাবে সাজানো হয়েছে দেশের জন্য কমফোর্টেবল।
গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনাল উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য বৈশ্বিক শিপিং জায়ান্ট এ.পি. মোলার-মায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। বৈশ্বিক শিপিং জায়ান্ট এ.পি. মোলার-মায়ার্সক একটি ডেনিশ শিপিং ও লজিস্টিকস কোম্পানি, যা সাধারণত সংক্ষেপে ‘মায়ার্সক’ নামেই পরিচিত। এর প্রধান কার্যালয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে।
এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি হিসেবে সুপরিচিত। এর অন্যতম প্রধান সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো মায়ার্সক লাইন। ১৯০৪ সালে আর্নল্ড পিটার মোলার এবং তার বাবা পিটার মারস্ক মোলার এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানিটি শুধু শিপিং সেবা প্রদান করে না, বরং সমন্বিত লজিস্টিকস এবং সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনা নিয়েও কাজ করে থাকে।
এসএস/টিএ