বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম বলেছেন, জামায়াতের নেতাদেরকে আওয়ামী লীগ তার মুরব্বিদের কথা মতো ফাঁসি দিয়েছে। এরপর জামায়াতের লোকজন অত্যন্ত কৌশলে সতর্কতার সাথে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে ঢুকে তাদের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনারা দেখবেন তারা কীভাবে দৌড়াত্ম্য দেখাচ্ছে। তারা মনে করছে আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ আসনে (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরের একটি বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, আমি জানতে পারলাম আমার আসনে (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) জামায়াতের নেতৃবৃন্দ একেকটি কেন্দ্রে ৫০ জন করে বহিরাগত বা প্রয়োজনে ৫০০ বহিরাগত নিয়ে সমাবেশ করবে। যাতে ভোটের দিন ভোটারদের চাপ দিতে পারে, ভোটাররা কেন্দ্রে না আসতে পারে। ওইসব লোক দিয়ে ভোট দেওয়াবে। আমি আমার নেতাকর্মীদের বলছি- তোমরা তোমাদের বাড়ির আশপাশের জামায়াতের লোকজনের ওপর নজর রাখো। সেখানে যদি কোনো বহিরাগত লোক পাও তাহলে তাদের পুলিশে দেবে, এটা আমার নির্দেশ। দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনে এসব ফাইজলামি চলবে না।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ আসনকে মাদকমুক্ত কিশোর গ্যাংমুক্ত, বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ, হারুনর রশীদ ট্রুম্যান, বাচ্চু মোল্লা ও সদস্য সচিব রাইসুল আলম। তারা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে ভোলা জেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম কায়েদসহ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
টিজে/টিএ