তাইওয়ান প্রণালীতে জাপানের যে কোনো সামরিক সম্পৃক্ততাকে 'আগ্রাসন' হিসেবে গণ্য করে 'শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ' চালানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচির সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল লিন জিয়ান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "যদি জাপান তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে হস্তক্ষেপ করার সাহস করে, তাহলে তা আগ্রাসনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে এবং চীন শক্তিমত্তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা আক্রমণ করবে।"
তিনি আরও সতর্ক করেন, "যদি জাপানি পক্ষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয় এবং তাইওয়ান প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করার জন্য ঝুঁকি নেয়, তবে তারা কেবল পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হবে এবং ভারী মূল্য দিতে হবে।"
লিন জিয়ান তাইওয়ান ইস্যুটিকে 'একচেটিয়াভাবে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বেইজিং এ বিষয়ে 'কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না' বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
গত সপ্তাহে একটি সংসদীয় বিতর্কের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি মন্তব্য করেছিলেন, তাইওয়ানের কাছে সম্ভাব্য সামরিক সংকট একটি 'অস্তিত্বগত হুমকি' তৈরি করবে, যার ফলে জাপান তার 'সম্মিলিত আত্মরক্ষার অধিকার' প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। এই মন্তব্য বেইজিংয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর আগে ওসাকায় নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল জুয়ে জিয়ানও টোকিওকে গুরুতর সতর্কবার্তা জারি করে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন, যদিও পরে সেটি মুছে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান নিজস্ব প্রশাসনে শাসিত হলেও বেইজিং এটিকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
ইএ/এসএন