ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং ২১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে উদ্ধারকারী দলগুলো এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে।
সেন্ট্রাল জাভার চিলাচাপ জেলার তিনটি গ্রামের বহু ঘরবাড়ি বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টির পর ভূমিধসে চাপা পড়ে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি এক বিবৃতিতে জানান, 'শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যৌথ উদ্ধারকারী দল ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২১ জনকে এখনও খোঁজা হচ্ছে।'
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষের সন্ধানে তৎপরভাবে কাজ করছে। দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে ভারী যন্ত্রপাতি, এক্সট্রাকশন টুল এবং হাতের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, সপ্তাহের শুরুতেই মৌসম, জলবায়ু এবং ভূ-ভৌত সংস্থা অঞ্চলটিতে চরম আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছিল। সংস্থাটি জানিয়েছিল, আগামী কয়েক সপ্তাহ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং অন্যান্য জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলা বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বন্যা ও ভূমিধস ঘটে। ১৭,০০০ দ্বীপের এই দেশটিতে অনেক মানুষ পাহাড়ি অঞ্চল ও বন্যাপ্রবণ উর্বর সমতলে বসবাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ষাকালের স্থায়ীত্ব ও তীব্রতা বেড়েছে, যার ফলে বাড়ছে ভারি বর্ষণ, হঠাৎ বন্যা ও প্রবল ঝোড়ো হাওয়া।
চলতি মাসের শুরুতে পাপুয়া অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয় এবং ৮ জন নিখোঁজ হয়। জানুয়ারিতে সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশে ভয়াবহ বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ২০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
এবি/টিকে