দীর্ঘ সাড়ে ২৬ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাবর আজম। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮৩ ইনিংস পর তার সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে দাপুটে জয় পেলো পাকিস্তানও। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো স্বাগতিকরা।
রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ২৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে বাবরের অপরাজিত শতকে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। দলের জয়ে ফখর জামান ৭৮ রান আর মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ফিফটি হাঁকিয়ে অবদান রাখেন। লঙ্কানদের পক্ষে ২টি উইকেটই নেন দুশমন্থ চামিরা।
এদিন রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পাকিস্তান। দশম ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে দলের খাতায় ৭৭ রান এনে দেন ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব। ২৫ বলে ৫ ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে দুশমন্থ চামিরার বলে ক্যাচ তুলে দেন সাইম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তো জয়ের ভিতই গড়ে নেন ফখর ও বাবর আজম। ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন ফখর। কিন্তু চামিরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তাকে থামতে হয় ৭৮ রানে। বাবরের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৯৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
তবে এদিন সেঞ্চুরির সুযোগ মিস করেননি বাবর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়ে ২৬ মাস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এ ব্যাটার। সবশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে নেপালের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ১৫১ রানের ইনংস খেলেছিলেন এ ব্যাটার। এরপর তিন ফরম্যাটে ৮৩ ইনিংস খেলেও সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ১১৯ বলে ৮ চারের মারে শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ৫৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। দুজনের ১১২ রানের অপরাজিত জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান সংগ্রহ করেছিল শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে ৬৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন জানিথ লিয়ানাগে। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস ৪৪ ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ ও আব্রার আহমেদ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬ রানের ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৬ নভেম্বর।
এসএস/টিএ