সর্বশেষ ব্যালন ডি’অরে লড়াই জমিয়ে তুললেও জেতা হয়নি বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিনে ইয়ামালের। এরপর তিনি নমিনেশন পান ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের জন্য। এবার বর্ষসেরা গোলের দৌড়েও রয়েছে রয়েছে ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের নাম। পুস্কাস জয়ের তালিকায় তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ ফুটবলার। এ ছাড়া নারী ফুটবলেও ফিফা সেরা গোলের ক্যাটাগরিতে ১১ জনের তালিকা করেছে।
গত মে মাসে এস্পানিওলের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে দৌড়ের ওপর বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে অসাধারণ এক গোল করেছিলেন ইয়ামাল। সেটি জায়গা করে নিয়েছে ফিফার পুস্কাস অ্যাওয়ার্ডের তালিকায়। অবশ্য এক্ষেত্রে ইয়ামালের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তিনি ফ্রি-কিকে দৃষ্টিনন্দন একটি গোল করেছিলেন।
অবশ্য পুস্কাসের তালিকায় থাকা অন্যান্য গোলও খুব বেশি পিছিয়ে তা বলার সুযোগ নেই। যদিও ইয়ামাল-রাইস ছাড়া বাকি ৯টি নাম কিছুটা অপরিচিত। তারা হচ্ছেন- আলেরান্দ্রো, আলেসান্দ্রো দিয়োলা, পেদ্রো দে লা ভেগা, সান্তিয়াগো মন্টিয়েল, আমর নাসের, কার্লোস ওরান্তিয়া, লুকাস রিবেইরো, রিজকি রিধো ও কেভিন রদ্রিগেজ।
মেয়েদের পুস্কাসের নামকরণ করা হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা ভিয়েরার নামে। ‘মার্তা অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য স্বয়ং মার্তাও মনোনয়ন পেয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে কানসাস সিটির বিপক্ষে ওরল্যান্ডো প্রাইডের এই ফরোয়ার্ড দ্রুতগতিতে বক্সে ঢুকে ড্রিবলিংয়ে পরাস্ত করেন দুই ডিফেন্ডারকে। এরপর গোলকিপারকে কিছুটা ঘুরিয়ে ফাঁকা জালে বল ঠেলে দেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালি সেন্টনর ও নেদারল্যান্ডসের ভিভিয়ানে মিয়েদেমার তার সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
নারী ফুটবলে বর্ষসেরা গোলের মনোনয়ন পাওয়া ১১ জন হচ্ছেন- জর্দিন বাগ, মারিওনা কালদেন্তি, অ্যাশলে চিটলি, কাইরা কুনি-ক্রস, জন রিয়ং-জং, মার্তা, ভিভিয়ানে মিয়েদেমা, কিশি নুনিয়েজ, লিজভেথ ওভাল, অ্যালি সেন্টনর, খাদিজা শ।
ফিফার ওয়েবসাইটে গিয়ে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনীত ফুটবলারদের ভোট দিতে হবে। আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর, ওয়াশিংটনে। ওই ড্র অনুষ্ঠানেই পুস্কাস পুরস্কার ঘোষণা করা হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। যেখানে এবারই প্রথম ‘পিস প্রাইজ’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
এসএস/টিএ