গত ১৪ মাসে সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে, হায় আল্লাহ এটা কী হলো : গোলাম মাওলা রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, প্রাগতিহাসিক যুগ থেকে আদি যুগ থেকে মানুষ বা যেকোনো প্রাণী সবসময় শক্তের ভক্ত নরমের জম। এটা মূলত জঙ্গলের শাসন বা জঙ্গলের ব্যবস্থা। জঙ্গল আইন অতিরিক্ত নিষ্ঠুরতা যখন রাজনীতিতে প্রদর্শিত হয়, সমাজে বা পরিবারে যখন খুব অতিরিক্ত শাসন থাকে, মাত্রাতিক্ত শাসন থাকে, সেখানে কোনো অবস্থাতেই ভালো ফলাফল তৈরি হয় না। উল্টো যে জিনিসগুলো হয় অনেকগুলো সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যেমন ধরেন, আপনি গোলাপ ফুল ফুটাবেন। তো বড় বড় গোলাপ ফুল ফুটানোর জন্য আপনি খুব বেশি পানি দিলেন। বেশি সার দিলেন। তো দেখা গেল, সারের কারণে সেই গাছ খুব বড় হয়ে গেল। নরমালি একটা গোলাপ গাছ হয়তো পাঁচ ফিট হবে বা দুই ফিট হবে। সেটা ১০ ফিট হয়ে গেল। একেবারে বেশি লম্বা হয়ে গেল।

কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সে ফুল আর দিচ্ছে না। আপনি খুব বেশি পানি দিলেন। গাছের জন্য খুব বেশি পানি দরকার। কিন্তু পানি এত বেশি দিলেন যে সেই গাছের যে শিকড় সেটি পচে যাবে। আবার যদি আপনি কোনো কিছু না দেন, সারও দেবেন না পানিও দেবেন না তাও হবে না। ফলে জীবনে পরিমিত বোধ। প্রকৃতিতে পরিমিত বোধ। সমাজে রাষ্ট্রে পরিমিত বোধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

গোলাম মাওলা রনি বলেন, আরেকটি হলো কনসিস্টেন্সি। ধারাবাহিকতা। যেকোনো জিনিসের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। তো যখন দীর্ঘকাল ধরে আমাদের সমাজে আমরা দুটো টার্ম ব্যবহার করি। একটা হলো দশক, আরেকটা হলো যুগ। ১০ বছরে আমরা এক দশক বলি। আর ১২ বছরে এক যুগ ধরি। তো কোনো একটা বিষয় যদি এই সমাজে ১০ বছর কিংবা ১২ বছর, এক দশক এক যুগ ধরে চলে, ওটা একটা প্রথাতে পরিণত হয়। ওটা একটা আইনে পরিণত হয়ে যায়। ইংরেজিতে যেটিকে বলা হয় কাস্টমস।

তিনি আরো বলেন, এখন শেখ হাসিনার জামানাতে ১৫ বছর ধরে তার যে শাসন-কর্তৃত্ব ছিল, তার যে দমনপীড়ন ছিল এবং প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর তার দুরন্ত শক্তি মেধা যোগ্যতা কৌশল ছিল। এর ফলে কি হলো? আর যারা প্রতিপক্ষ সবার যে হৃদয়ের মধ্যে কতগুলো মেশিন আছে যেমন আপনি সাপ দেখলে ভয় পাবেন স্বাভাবিক। কিন্তু সাপতে ভয় পায় না আপনার হাতে যদি একটা ইনজেকশন দেওয়া হয় আপনি অনেক বড় বীর, বিরাট লেখক, সাহিত্যিক সাংবাদিক, সারাদিন পিস্তল চালান মস্ত বড়, যাকে বলা হয় শিকারী। কিন্তু ছোট্ট একটা ইনজেকশন দিয়ে যদি বলা হয় যে এই ছাগলের পাছার ওপর এই ইনজেকশনটা পুশ করেন। আপনি দেখবেন, আপনি পারবেন না। কিংবা ছাগলের পাছা বাদ দিলাম, মুরগির রান ওইখানে একটা ইনজেকশন পুশ করে আপনি একটু ওষুধটা পুশ করে দেন। আপনি একটু নিজে চিন্তা করেন তো যে আপনি সেটা পারবেন কিনা।

আপনার হাত থলথর করে কাঁপবে। কিংবা যদি বলা হয় যে এই ইনজেকশনটা খুবই জরুরি এখন আপনার নিজের শরীরে এটা যদি আপনি নিজে পুশ না করেন তাহলে আপনি মরে যাবেন। তো আপনাদের কয়জনের সাহস আছে? একটা ছোট্ট সিরিঞ্জ নিজের সেই হাতে পায়ে পশ্চাৎ দেশে যেখানে মাংসপেশি রয়েছে সেখানে আপনি এভাবে ঢুকাতে পারবেন?

তিনি জানান, দেখেন তো একটু চিন্তা করে দেখেন। অথচ এই বস্তু যারা নেশাগ্রস্ত অনেক ভিখারী ইদারিং দেখা যাচ্ছে যে ডেইলি ২০ বার ৩০ বার করে সে নিজের শরীরের ইনজেকশন পুশ করে সে নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। তাহলে জীবনটা হলো একটা প্র্যাকটিস। ম্যাটার অফ প্র্যাকটিস। এখানে রাতারাতি আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না। তো সেই ক্ষেত্রে যেটা হলো যে শেখ হাসিনার জমানাতে আমাদের অনেকের অনেক মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। মস্তিষ্কের যেখানে চিন্তা করে পজিটিভ চিন্তা করে, ইতিবাচক চিন্তা করে, যেখান থেকে প্রোডাক্টিভিটি আসে, সেই চিন্তাটা নষ্ট হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনার জামানাতে ভয়ের কারণে।

তিনি আরো জানান, এরপরে বুকের মধ্যে অনেকে দেখবেন যে ভয় পেলে বুক ধরফড় করে। আবেগে ভালোবাসায় প্রেমে বুক ধরভড় করে। আমাদের মধ্যে ভয় পাওয়ার প্রবণতা এটা একেবারে রীতিমত ১৫ বছরে এসটাবলিশড হয়ে গেছে। এটা কাস্টমস আইনে পরিণত হয়েছে। এমনকি আমাদের ভাত না খেলেও চলবে, আমাদের পোশাক না পড়লেও চলবে কিন্তু ভয় আমাদের পেতেই হবে। আমাদের দ্বিধা দ্বন্দ থাকতে হবে। এবং আমরা বাইরে কারো সঙ্গে পারি না, শেখ হাসিনার সঙ্গে পারি না। তার পুলিশের সঙ্গে পারি না। তার র্যাবের সঙ্গে পারি না। কাজেই আমরা আমাদের ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়স্বজন, ছেলেমেয়ে, স্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের বাহাদুরি দেখাতেই হবে। ফলে দেখবেন, হয়তো ১৫ বছর গৃহের অশান্তি বেড়ে গেছে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে।

সেই ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে আমরা ভীতু সন্ত্রস্ত যে সমস্ত মানুষ শেখ হাসিনার দ্বারা অত্যাচারিত নিষ্পিত ছিলাম আমরা মুক্তবিহঙ্গের মতো যখন উড়ার সুযোগ পেলাম, আমরা আসলে উড়তে পারিনি আমাদের যা দেখার ছি,ল আমরা সাদ দেখতে পারিনি আমাদের যা বলার ছিল বলতে পারিনি। যা শোনার ছিল আমরা শুনতে পারিনি ফলে এই গত ১৪ মাসে যে তছনছস হয়ে গেছে সবকিছু তছনস হয়ে গেছে এবং সেটা দেখে আমার এই যে আফসোস করতে ইচ্ছে করেছে হায় আল্লাহ বা হায় খালেদ এটা কি হলো? এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। তো এই যে সমস্যা এই সমস্যার ফলে কি হলো?

যারা এই অল্প সময়ের মধ্যে গত ১৪ মাসে যাদের ভূমিকা ছিল খুবই দুর্বল প্রাণী ধরুন খরগোশের মতো কিংবা ছাগলের মতো তাও আবার ছাগল না বাচ্চা ছাগল কিংবা ধরুন আরো নিরীহ প্রাণী কি আছে মুরগির মতো। বা মোরগের মতো। এই প্রাণীগুলোর নাম বললাম এই কারণে, আপনি মোরগ দেখবেন খুব দুর্ধর্ষ মুরগিও। কিন্তু খুব দুধর্ষ অলনে ছাড়েন বিশেষ সময়টাতে এরা খুব রাগ হয়ে যায় এবং ঘাড়ের পশম তারা খাড়া করে বাঘসিংহের সঙ্গে পর্যন্ত লড়াই করতে গোকরা সাপকে আঘাত করতে যায়। এই মুরগি এবং মরগ।

একইভাবে ছাগলের অবস্থা। ছাগল সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন যে ছাগল সেটা লেডি ছাগল হোক কিংবা জেন্টস হোক পুরুষ হোক বা নারী হোক ছাক বা ছাগি সিং যদি থাকে নাও থাকে ও আপনাকে গুতা দেয়ার চেষ্টা করবে। আপনি ধাক্কা দিয়ে ফেলে প্রাণী কি আছে মুরগির মতো। বা মোরগের মতো। এই প্রাণীগুলোর নাম বললাম এই কারণে, আপনি মোরগ দেখবেন খুব দুর্ধর্ষ মুরগিও। কিন্তু খুব দুধর্ষ অলনে ছাড়েন বিশেষ সময়টাতে এরা খুব রাগ হয়ে যায় এবং ঘাড়ের পশম তারা খাড়া করে বাঘসিংহের সঙ্গে পর্যন্ত লড়াই করতে গোকরা সাপকে আঘাত করতে যায়।

এই মুরগি এবং মরগ। একইভাবে ছাগলের অবস্থা। ছাগল সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন যে ছাগল সেটা লেডি ছাগল হোক কিংবা জেন্টস হোক পুরুষ হোক বা নারী হোক ছাক বা ছাগি সিং যদি থাকে নাও থাকে ও আপনাকে গুতা দেয়ার চেষ্টা করবে।

আপনি ধাক্কা দিয়ে ফেলেসেই ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে আমরা ভীতু সন্ত্রস্ত যে সমস্ত মানুষ শেখ হাসিনার দ্বারা অত্যাচারিত নিষ্পিত ছিলাম আমরা মুক্তবিহঙ্গের মতো যখন উড়ার সুযোগ পেলাম, আমরা আসলে উড়তে পারিনি আমাদের যা দেখার ছিল আমরা সাদ দেখতে পারিনি আমাদের যা বলার ছিল বলতে পারিনি। যা শোনার ছিল আমরা শুনতে পারিনি ফলে। এই গত ১৪ মাসে যে তছনছস হয়ে গেছে সবকিছু তছনস হয়ে গেছে এবং সেটা দেখে আমার এই যে আফসোস করতে ইচ্ছে করেছে হায় আল্লাহ বা হায় খালেদ এটা কি হলো? এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। তো এই যে সমস্যা এই সমস্যার ফলে কি হলো? যারা এই অল্প সময়ের মধ্যে গত ১৪ মাসে যাদের ভূমিকা ছিল খুবই দুর্বল প্রাণী, ধরুন খরগোশের মতো কিংবা ছাগলের মতো। তাও আবার ছাগল না বাচ্চা ছাগল। কিংবা ধরুন আরো নিরীহ প্রাণী কি আছে মুরগির মতো। বা মোরগের মতো।

এই প্রাণীগুলোর নাম বললাম এই কারণে, আপনি মোরগ দেখবেন খুব দুর্ধর্ষ মুরগিও। কিন্তু খুব দুধর্ষ অলনে ছাড়েন বিশেষ সময়টাতে এরা খুব রাগ হয়ে যায় এবং ঘাড়ের পশম তারা খাড়া করে বাঘসিংহের সঙ্গে পর্যন্ত লড়াই করতে গোকরা সাপকে আঘাত করতে যায়। এই মুরগি এবং মরগ।

একইভাবে ছাগলের অবস্থা। ছাগল সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন যে ছাগল সেটা লেডি ছাগল হোক কিংবা জেন্টস হোক পুরুষ হোক বা নারী হোক ছাক বা ছাগি সিং যদি থাকে নাও থাকে ও আপনাকে গুতা দেয়ার চেষ্টা করবে। আপনি ধাক্কা দিয়ে ফেলে। 

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

মোস্তফা ফিরোজ

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে ইউনূসের ওপর ব্রিটেন-ভারতের চাপ বাড়ছে Nov 15, 2025
img
আসছে বি ইউ শুভর নতুন নাটক 'শুধু তোমারই অপেক্ষায়' Nov 15, 2025
img
রাজধানীতে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Nov 15, 2025
img
মুস্তাফিজের যেসব সতীর্থদের ছেড়ে দিলো দিল্লি Nov 15, 2025
img
আযমী ও আরমানের জন্য জামায়াত ফাইট করেনি, কিন্তু তুলি করেছেন : জাহেদ উর রহমান Nov 15, 2025
img
নতুন পোশাকে বাংলাদেশ পুলিশ Nov 15, 2025
img
ঢাকায় রিকশা চালালেন পাক অভিনেতা আহাদ রেজা Nov 15, 2025
img
লেস্টার সিটির ২ জন হামজার জন্য ঢাকায় Nov 15, 2025
img
চীনে বৃহত্তম একক সোনার মজুতের সন্ধান Nov 15, 2025
img
উপদেষ্টার ভাই নাহিদ ইসলামকে ধমকাইয়া আমাকে বহিষ্কার করাইছে : মুনতাসির মাহমুদ Nov 15, 2025
img
এইচ-১বি ভিসা বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল, বিদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ Nov 15, 2025
img
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো গমের তৃতীয় চালান Nov 15, 2025
img
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ‘রিভিউ আবেদন’ ছাত্রদল নেতাদের Nov 15, 2025
img
১১ ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিলো চেন্নাই Nov 15, 2025
img

জামায়াতকে মির্জা ফখরুল

মানুষ সহজে আপনাদের ভোট দেবে না Nov 15, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯২ Nov 15, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপ নিতে মনস্থির করেছেন ট্রাম্প! Nov 15, 2025
img
২০০ টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন হিরো আলম Nov 15, 2025
img
‘শিক্ষকদের দাবি আদায়ে আর রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না’ Nov 15, 2025
img
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের বাজারে সুখবর Nov 15, 2025