বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন। মিনিট পনেরো আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমের ভিড়। তাদের মধ্যে দৃষ্টি কাড়ছেন ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে অপেক্ষায় থাকা দুই জন বিদেশি নাগরিক। তারা এসেছেন হামজা চৌধুরীর ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে।
হামজা টিম বাস থেকে নেমে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে তাদের সঙ্গে বেশ হাসিমুখে আলাপ করেন। অনুশীলন শুরুর আগে সামিত সোম মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই মিডিয়া মাঠে প্রবেশ করলে লেস্টারের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেন।
লেস্টারের ভিডিও প্রডিউসার ড্যান টাগট বলেন, ‘হামজার ওপর ডকুমেন্টারি করতে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। ইংল্যান্ডে হামজাকে নিয়ে শুট করেছি। এখন বাংলাদেশে চার দিন থাকব। ভারত ম্যাচের পরের দিনই চলে যাব। এটা লেস্টারের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে মাসখানেক পর।’
লেস্টারে অনেক ফুটবলারই আগেও ইংল্যান্ডের বাইরে অন্য দেশের হয়ে খেলেছেন এবং এখনো খেলছেন। হামজাকে নিয়ে এমন ডকুমেন্টারি করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘আসলে হামজা এবং লেস্টার প্রায় সমার্থক। তার বেড়ে ওঠা লেস্টারে এবং লেস্টারে তিনি সবার প্রিয়, আবার বাংলাদেশেও তার বিশাল জনপ্রিয়তা। হামজার মুখে শুনেছি আগে, আজ দেশে এসে এত মিডিয়ার উপস্থিতি এবং চার মিনিটে টিকিট বিক্রির ঘটনা শুনে বেশ বিস্মিত হয়েছি।’
লেস্টার ইংল্যান্ডের অন্যতম পুরানো এবং বড় ক্লাবগুলোর একটি। এরপরও হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর লেস্টারের ফেসবুক পেজে ফলোয়ার, প্রতিক্রিয়া বেড়েছে বহুগুণে। লেস্টারের ম্যাচের সূচি বাংলাদেশের টাইম জোনেও দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে লেস্টারের মিডিয়া টিমের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘হামজার জন্য বাংলাদেশের অনেক মানুষ লেস্টার অনুসরণ করছে। মানুষের আগ্রহের জন্যই স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের টাইম জোন যুক্ত হয়েছে।’
ড্যান যখন জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার অনুশীলনের ভিডিও করছেন। তখন তার পেছনে ছিলেন দীর্ঘাদেহী জ্যা ম্যান। তিনি মূলত লেস্টারের নিরাপত্তা কর্মী। হামজা এত বড় ফুটবলার হলেও তিনি হাসিমুখে সবার সঙ্গেই মেশেন। লেস্টারের নিরাপত্তা কর্মীর মুখেও হামজার বন্দনা, ‘সে খুবই হাসিখুশি পূর্ণ মানুষ। আমি তাকে খুব ছোট থেকে চিনি, যখনও সে তারকা হয়নি।’
লেস্টারের অন্যতম ফুটবলার ঘানার আব্দুল ফাতাউ। তার ওপর ভিডিও করতে ঘানা গিয়েছিল লেস্টারের টিম। এবার হামজার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন তারা। আজ সকালে নেমে বিকেলে জাতীয় স্টেডিয়ামেই আসেন তারা।
এবি/টিকে