এসএস রাজামৌলি ফিরেছেন নতুন দিগন্ত নিয়ে। প্রকাশিত তিন মিনিটের ঝলকে তাঁর চলচ্চিত্র ‘বারাণসী’ ভারতীয় সিনেমার চেনা সীমানা ছাপিয়ে এক নতুন পৌরাণিক সাইফাই জগতের ইশারা দিয়েছে। প্রতিটি দৃশ্যেই আছে প্রতীকী শক্তি ও চিত্রভাষার দাপট যা দুনিয়া কাঁপানো ডুন বা অ্যাভাটারের মতো বৈশ্বিক মহাকাব্যের সঙ্গে তুলনা টেনে আনে। রুদ্ররূপী মহেশ বাবুর লাফিয়ে উঠা মুহূর্ত যেন হনুমানের সঞ্জীবনী পর্বত বহনের প্রতিচ্ছবি।
অগ্নিময় আকাশ, গেরুয়া আবহ, প্রলয়ঘন যুদ্ধক্ষেত্র আর ভূগর্ভস্থ মন্দির মিলিয়ে এক বিস্ময়কর দৃষ্টি তৈরি করেছে রাজামৌলি। মহেশের কণ্ঠে ত্রিশূলধারী যুদ্ধাহ্বান হয়ে উঠেছে অতীন্দ্রিয়। কালের সীমানা ভেদ করে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সংঘর্ষ আর ভবিষ্যদ্বাণীময় বারাণসী মিলে তৈরি হচ্ছে এক প্যান মিথিক বিশ্ব। আন্তর্জাতিক ভিএফএক্স ও মোশন ক্যাপচার দলের বর্ষব্যাপী কাজের ফলেই এই দৃষ্টিনন্দন ঝলক তৈরি হয়েছে যা ভারতীয় সিনেমার নতুন বৈশ্বিক পরিচয় হয়ে উঠতে পারে।
এবি/টিকে