রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ ও গণভোট ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। পার্টির পক্ষ থেকে গণভোটকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির নামে জারীকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংশোধন) আদেশ-২০২৫ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা অনেকটা দূর করলেও তা গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান যে সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছে ও ১৫ মাস ধরে ক্ষমতায় আছে, তারা সংবিধান সংশোধন নিয়ে কোনো সাংবিধানিক আদেশ দিতে পারে কি না এবং এই আদেশ বিদ্যমান সংবিধানকে অস্বীকার করার শামিল কি না, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।’ এই আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট ও এখতিয়ারের বাইরে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সাথে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠানের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ ইতিবাচক হলেও গণভোটের জন্য উত্থাপিত বিষয়াবলির ওপর একটি শব্দে মতামত প্রদান অস্বাভাবিক ও ঝুঁকিপূর্ণ।
যে চারটি ভাগে ভাগ করে গণভোটের বিষয়াবলি উল্লেখ করা হয়েছে, কেবল একটি উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়া। ভোটাররা যদি দুটি বিষয়ে ‘হ্যাঁ’, বা দুটি বা একটি বিষয়ে ‘না’ বলতে চান তাদের জন্য বিকল্প কী? তাই এভাবে গণভোটের আসল উদ্দেশ্য অর্জন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে সংবিধান সংশোধনের যেসব বিষয়ে সব দলের মতৈক্য রয়েছে, কেবল সেসব বিষয়ে গণভোট দিতে হবে।” বাকি বিষয়সমূহ পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ ও সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর নেতা সালাউদ্দিন, যুবরান আলী জুয়েল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এমকে/এসএন