অজয়ের বাবা বীরু দেবগন ছিলেন লড়াইয়ের দৃশ্যের পরিচালক। তাই লড়াইয়ের দৃশ্য তাঁর কাছে কখনোই বিশেষ কঠিন মনে হয়নি। কিন্তু বাস্তবে স্কাই ডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ অজয়ের।
চোখের সামনে ভয়াবহ মৃত্যু দেখেছেন অজয় দেবগন।
স্কাই ডাইভিং করতে হিয়ে কী ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে, তা জানালেন অভিনেতা।
এই মুহূর্তে ‘দে দে পেয়ার দে ২’ সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগণ। একসময় বিভিন্ন ছবিতে কঠিন লড়াইয়ের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি, এখনো করেন। তার বাবা বীরু দেবগন ছিলেন ফাইটিং দৃশ্যের পরিচালক।
তাই লড়াইয়ের দৃশ্য তার কাছে কখনোই বিশেষ কঠিন মনে হয়নি। কিন্তু বাস্তবে স্কাই ডাইভিং-এর অভিজ্ঞতা খুব খারাপ অজয়ের। স্কাই ডাইভিং করতে হিয়ে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে, তা জানালেন অভিনেতা।
‘দে দে পেয়ার দে ২’ ছবিতে অজয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন আর মাধবনও।
তিনি ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, অজয় একটি দৃশ্যে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই বিমান থেকে স্কাই ডাইভিং করেন। অজয়ের এমন নির্ভীক সত্তা দেখে তিনি মুগ্ধ।
তখনই সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার তুলে ধরেন অজয়। আমেরিকায় স্কাই ডাইভিং-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর অভিনেতা বলেছেন, “আমি ওখানে যাওয়ার পরেই এক সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা হয়।
দেখি, একজন বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর প্যারাশুটটি আর খোলেনি। সেই ব্যক্তির পরেই আমার পালা ছিল স্কাই ডাইভিং-এর।”
সেই লোকটি ছিলেন হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। স্কাই ডাইভিং করতে গিয়ে নাকি কোনো রকমে রক্ষা পেয়েছিলেন হলিউড অভিনেতা। বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরেও তার প্যারাশুট ঠিকভাবে খুলছিল না। সঙ্গে সঙ্গে লিওনার্দোর প্রশিক্ষকও ঝাঁপ দেন এবং অভিনেতাকে বাঁচান। তার পরেই অজয়ের ঝাঁপ দেবার কথা থাকলেও তিনি দেননি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
এসএন