কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আপনার জয় বাংলা পছন্দ না হতে পারে, কিন্তু জয় বাংলা বলার জন্য আপনি জেলখানায় নেবেন; ভাবি কালের ইতিহাসের কাছে কী জবাব দেবেন। জবাব নাই।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে, নির্বাসিত জীবনযাপন না করলে আমি আজ আপনাদের সামনেও কথা বলতে পারতাম না। কারো সামনে কথা বলার যোগ্যতা আমার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমি যত বড় হয়েছি মিথ্যা আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণার বিষয় হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে আমাকে খুন করতে পারেন, কোনো বাধা দেব না। কিন্তু আমাকে দিয়ে মিথ্যা বলাতে পারবেন না। আমার মন যা বলে, হৃদয় যা বলে তার বাইরে আমি যাই না। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে গেলে সে নির্বাচন আপনারা ভালোভাবে করতে পারবেন না। ভোটাররা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে জন্য আপনাদের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রসঙ্গ তুলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘গণভোটের চার প্রশ্নে ভোটাররা কিভাবে আলাদাভাবে মত প্রকাশ করবে, সে বিষয়ে মানুষ এখনো বিভ্রান্ত। গণভোটে কম অংশগ্রহণ হলে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশটাকে একদম বিভক্ত করে ফেলেছে। ১৫ মাস হলো সরকারের ডাকে যাই না। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’