গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) পাঠানো এক চিঠিতে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। সেই চিঠিতে সাক্ষর ছিল রিয়া আক্তার শিখার। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করেও কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি অনিয়ম না পাওয়ার তথ্য প্রকাশের পরই রিয়া জানালেন, এনএসসিতে কোনো চিঠি পাঠাননি তিনি। অর্থাৎ, তার কথা মতে কেউ তার সই নকল করে এই কাজ করেছে। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব তথ্য জানান রিয়া।
নিজের ফেসবুক পোস্টে রিয়া লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে অনেকেই এই চিঠির বিষয় জিজ্ঞেস করেছেন, তাদেরকে পূর্বেও বলেছি এই চিঠি আমি প্রদান করিনি, আজকে সকলের উদ্দেশ্যে আমি এই বিষয়টা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আমি এমন কোন চিঠি প্রদান করিনি।এখানে ব্যবহৃত আমার স্বাক্ষরটাও নকল করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত আমার যে স্বাক্ষর আছে সেটা সংযুক্ত করে দিয়েছি।’
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলা নারী ক্রিকেট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির পক্ষে এনএসসিতে পাঠানো চিঠিতে করা অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অবৈধ সম্পর্ক এবং অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেট নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনিয়ম।
বয়স বেশি হওয়ার পরও এশা রহমান, আখি আক্তার, রুমানা আহমেদ, মীম খাতুন, চিত্রিতা অধিকারী, জেরিন তাসনিম লাবণ্য, লামিয়া মৃধা, আফরিন মীম, রিজভী দাস এবং ববি খাতুনকে খেলানো হচ্ছে। ঢাকা লিগে পারফর্ম করার পরও স্বজনপ্রীতি করে খাদিজা খাতুন, লাবনি আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিনকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
টিজে/এসএন