আজ ১৭ই নভেম্বর, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লার ৭৩তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।
গানের এক বর্ণাঢ্য জীবন পার করে আসা এই শিল্পী এখনও তাঁর অসাধারণ কণ্ঠের জাদুতে দেশ-বিদেশের কোটি কোটি শ্রোতাকে মুগ্ধ করে চলেছেন।
মাত্র আড়াই বছর বয়সে গান শেখা শুরু করা রুনা লায়লা ছয় বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। এরপর ১৯৫৪ সালে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। তাঁর সঙ্গীতের জীবন ছিল আন্তর্জাতিক এবং বৈচিত্র্যময়।
রুনা লায়লা বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, ইংরেজি, স্প্যানিশসহ প্রায় ১৮টিরও বেশি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত এবং পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পেও তাঁর গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁকে বলিউডের অন্যতম সেরা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবেও গণ্য করা হয়।
'সাধের লাউ', 'দাও আমাকে দাও', 'পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম' সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। এমন অসংখ্য কালজয়ী গান তাঁকে
সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য রুনা লায়লা বাংলাদেশ থেকে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভকরেছেন। পাকিস্তানের জনপ্রিয়তম চলচ্চিত্র পুরস্কার 'নিগার অ্যাওয়ার্ড' সহ বহু আন্তর্জাতিক সম্মাননা তিনি অর্জন করেছেন।
রুনা লায়লা নাম নয়, এক চিরন্তন সুরের প্রতিচ্ছবি। তার সুরের জাদুতে বুঁদ হয়ে আছেন কোটি কোটি সংগীতপ্রেমী শ্রোতা-দর্শক। তার ৭৩তম জন্মদিনে রইল অশেষ শুভকামনা। তিনি আরও সুন্দর গান উপহার দিন-এই প্রত্যাশা।
এমআর/টিকে