সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে স্বর্ণের দামে সামান্য উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগে সতর্ক ভঙ্গিতে বাজারে লেনদেন চলছে। খবর রয়টার্সের।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আউন্সপ্রতি ৪,০৮৩.৯২ ডলারে। তবে ডিসেম্বরে সরবরাহযোগ্য মার্কিন ফিউচারস স্বর্ণের দাম ০.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪,০৮৫.৩০ ডলারে নেমে এসেছে।
গত শুক্রবারের বিক্রির চাপ কিছুটা অতিরিক্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কেসিএম ট্রেডের চিফ মার্কেট অ্যানালিস্ট টিম ওয়াটারার। তিনি বলেন, “সোমবার স্বর্ণের দামে যে পুনরুদ্ধার দেখা যাচ্ছে, তা মূলত আগের দিনের অতিরিক্ত মুনাফা গ্রহণের প্রতিক্রিয়া।”
তিনি আরও জানান, আগামী মাসে সুদের হার কমানোর বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভের প্রত্যাশা হ্রাস পাওয়ায় স্বর্ণের জন্য সুদের হার-নির্ভর আয়ের দিক থেকে চাপ তৈরি হয়েছে। সরকারী শাটডাউন শেষ হলেও অর্থনীতির বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন শ্রমবাজারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরের নন-ফার্ম পেরোলস (এনএফপি) রিপোর্ট। এ কারণে বাজারজুড়ে সতর্কতা বিরাজ করছে। সম্প্রতি শাটডাউনের প্রভাব কাটিয়ে শিগগিরই নতুন ডেটা প্রকাশের সময়সূচি হালনাগাদ করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ব্যুরো।
ট্রেডাররা এখন আগামী মাসে ফেডের এক-চতুর্থাংশ শতাংশ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ শতাংশ।
এদিকে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং চলতি বছর দুটি সুদহার কমানোর পর শ্রমবাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত পাওয়ায় আরও নীতিগত শিথিলতা নিয়ে সতর্ক হচ্ছেন ফেড কর্মকর্তারা।
কম সুদের পরিবেশ এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময় স্বর্ণ সাধারণত ভালো অবস্থানে থাকে। তবে শক্তিশালী ডলার এখন স্বর্ণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক স্থিতিশীল রয়েছে, ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণভিত্তিক এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার তাদের মজুত কমে দাঁড়িয়েছে ১,০৪৪ মেট্রিক টনে, যা একদিন আগে ছিল ১,০৪৮.৯৩ টন।
স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার দাম ০.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আউন্সপ্রতি ৫০.৯৬ ডলারে। প্লাটিনাম ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি ১,৫৫২.৩৬ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১.৭ শতাংশ লাফ দিয়ে আউন্সপ্রতি ১,৪০৮.১৩ ডলারে পৌঁছেছে।
এমআর/টিকে