জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় হচ্ছে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় পড়ছেন। এর আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।
জুলাই শহীদদের স্মরণ করে ফারুকী লিখেছেন, টিভিতে দেখতে পেলাম জুলাইয়ে আহতরা কাঁধে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ লেখা স্কার্ফ পড়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকছে। ধীর পায়ে।
তিনি আরও লিখেছেন, শহীদদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রিপোর্ট করছে রিপোর্টাররা। বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরা এখনও সন্তানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের মুখে শুধু একটাই কথা ‘বিচার চাই’।
সবশেষে উপদেষ্টা লিখেছেন, দুই বোন মিম-মিতুর কাঁধে শহীদ রাব্বির লাশ। প্রতিটা শহীদের পরিবারের কাঁধে তাদের প্রিয়জনের লাশ। আর বাংলাদেশের কাঁধে ন্যায়বিচারের ভার। ন্যায়বিচারই একটা জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে, হিলিং করতে পারে আমাদের গভীর ক্ষতের।
প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় পড়ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় পড়া শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও কামাল। তবে গ্রেফতার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন। যদিও রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেন প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়।
টিজে/টিকে