“পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে হেন কোনো বাজে কাজ নেই, যা আমার নামে ছড়ানো হচ্ছে না। সব দলের লোকেরা এটা প্রচার করছে। মোবাইলে নিয়ে নিয়ে চায়ের দোকানে গ্রামবাসীকে দেখাচ্ছে ওই যে টাক আছে না, টাকলু? কত ভালো ভালো কথা বলে, কী করে দেখ!”
এভাবেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিজের বিড়ম্বনাময় অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রতিকার চাইলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ আর্জি জানান।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে হেন কোনো বাজে কাজ নেই, যা আমার নামে ছড়ানো হচ্ছে না। কীভাবে করবেন বন্ধ? কিছু একটা করে দেখান না। আপনি যদি এটা এখনই করতে না পারেন, আমি কনফিডেন্স পাব কীভাবে? এটা অ্যাবিউজ হলে… আপনার আইটি টিম পারবে।
তিনি আরও বলেন, সব দলের লোকেরা এটা প্রচার করছে। মোবাইলে নিয়ে নিয়ে চায়ের দোকানে গ্রামবাসীকে দেখাচ্ছে ওই যে টাক আছে না? টাকলু, এসেছে কত ভালো ভালো কথা বলে, কী করে দেখ। দোকানে দোকানে গিয়ে এখই দেখাচ্ছে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কীভাবে করবেন, কয়টা চায়ের দোকানে যাবেন? এ চ্যালেঞ্জ কীভাবে অ্যাড্রেস করবেন? আমরা কনফিডেন্সের জন্য জানতে চাই। এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার) সিভিয়ার প্রবলেম। ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যত সহজে লেখা হচ্ছে, বাস্তবতার সাথে এর অনেক পার্থক্য।
তিনি আরও বলেন, ভুয়া ভিডিও ও বিকৃত কনটেন্ট ছড়িয়ে তাকে সামাজিকভাবে বিভ্রান্ত ও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। অথচ এসব প্রতিরোধে ইসির বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।
আচরণবিধি প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, আইন ও আচরণবিধি ইসির কর্মপরিকল্পনা আরও স্পষ্ট করতে হবে। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বহন না করলেও অনুদান নেওয়া বন্ধ রাখছে। এটা সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া যেমন ধরেন, এলাকায় হাজার কোটি টাকার ব্রিজ হবে; অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে দেনদরবার করে একনেকে পাস করিয়েছি। এলাকার ব্রিজ যেদিন উদ্বোধন করবে সেদিন আমি থাকতে পারব কি না। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু এলাকাবাসীকে জানাতে পারব না, এটা কি খুব অন্যায় কাজ? আপনি আমার হাত পা বেঁধে দিচ্ছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সংলাপে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
এসএস/এসএন