সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে যে চিরাচরিত প্রথা সে প্রথা অনুযায়ী নির্বাচনটি আসলে শুরু হয়ে যায়। আর যেদিন সমাপ্তি হবে সেইদিন মানুষ আফসোস করে যে সমাপ্ত হয়ে গেল, আনন্দটা চলে গেল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই মূলত নির্বাচন।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা বলেন, যদি কাগজে কলমে ধরি যে আমাদের জাতীয় নির্বাচন কবে তাহলে হাতে সময় মাত্র ১৫ দিন। সরকার যেভাবে ঘোষণা করেছিল তাতে করে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই অর্থে হাতে দুই সপ্তাহ সময় আছে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়ে যায় তখন নির্বাচনের ট্রেন উঠে যায়।
চারিদিকে শুধু নির্বাচন। রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যায়। মানুষের জীবনে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বক্তব্য থাকে না।
রনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৈনন্দিন যে সকল কর্ম একেবারে না করলে নয়, সেই কর্ম তারা করতে থাকেন। আর সরকার বসে বসে চিন্তা করতে থাকে তারা থাকবে কি থাকবে না। আবার নির্বাচিত হবে কি হবে না। যেহেতু এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে ফলে তারা আবার নির্বাচিত হবে কি হবে না এ বিষয়ে তাদের চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। তাদেরকে যেতে হবে। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পরে যে জোয়ার উঠবে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই দুটো মাস নির্বাচনের ট্রেন চলতে থাকবে।
রনি আরো বলেন, দুই সপ্তাহ আগে যদি বাংলাদেশের প্রকৃত এবং বাস্তব অবস্থা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেন তাহলে কি দেখবেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবেন? কারা কারা মন্ত্রী হবেন? কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই জিনিসগুলো মোটামুটি সেটেলড হয়ে যায় মানুষের মন এবং মননে।
কেএন/টিকে