ফেনীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে পৃথক অভিযানে কেরোসিন, পেট্রোল, গ্যাস লাইটসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাত থেকে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার দুই যুবক। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় যানবাহনে আগুন দেয়ার সময় আবদুল্লাহ আল মাসুম (২২) ও মোহাম্মাদ রাজু (২০) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। দুজনই সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রাজু তাদের মুঠোফোনে ফোনে টাকা পাঠায়। নির্দেশনা দেয়া হয় লালপোল এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন লাগাতে। সাবেক সংসদ সদস্য আলা উদ্দিন নাসিমের পক্ষে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভিডিও করে পাঠাতেও বলা হয় তাদের। এ সময় এক বোতল পেট্রোল, এক বোতল কেরোসিন, গ্যাস লাইট ও টেপ উদ্ধার করা হয়। নাশকতার ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি আদালত) মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ফুলগাজী-পরশুরাম আমলি আদালত) মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মোহাম্মাদ রাজু নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
এদিকে নাশকতার চেষ্টাকালে সোমবার সকালে শহরের মহিপাল ও সদর উপজেলার লেমুয়ায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম (২১), মোহাম্মাদ নাহিদ (২২) ও আশরাফুল হক (২১) এবং শহরের মহিপাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ জিসান (১৯), ফারদিন ইসলাম (১৮), মোহাম্মদ সোহেল (১৮) ও সিরামকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেএন/টিকে