২০২৬ সাল পর্যন্ত বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে পারে। বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস তাদের বিশ্লেষণে বলছে, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল উদ্বৃত্ত তৈরি হবে। এতে দাম কমতে পারে। খবর রয়টার্স’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৬ ডলার হতে পারে। ডব্লিউটিআইয়ের দাম নেমে যেতে পারে ৫২ ডলারে। যা বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী কার্ভের চেয়ে কম। দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের উৎপাদন একে একে বাজারে আসছে। ওপেক প্লাসও উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত তুলে নিয়েছে। ফলে সরবরাহ দ্রুত বাড়ছে।
ওপেক প্লাস গত এপ্রিল থেকে উৎপাদন বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলও আউটপুট বাড়িয়েছে। এতে বৈশ্বিকভাবে তেল উদ্বৃত্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা বলছে, আগামী বছর উদ্বৃত্ত ৪.০৯ এমবিপিডি পর্যন্ত যেতে পারে।
গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করে, ২০২৭ সাল থেকে তেলের দাম আবার বাড়তে পারে। তখন নতুন প্রকল্পের সংখ্যা কম থাকবে। অ-ওপেক দেশগুলোর উৎপাদনও কমে আসবে। ব্যাংকটির পূর্বাভাস, ২০২৮ সালের শেষ নাগাদ ব্রেন্ট ৮০ ডলার এবং ডব্লিউটিআই ৭৬ ডলারে যেতে পারে। তবে সরবরাহ বেশি থাকলে ২০২৬-২০২৭ সালে দাম ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারের ঘরেও নেমে যেতে পারে।
ইএ/টিকে