শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা : গোলাম মাওলা রনি

২০০৯ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। আমি তখন সবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আনুষ্ঠানিক শপথের পর আমাদের নিয়ে প্রথম যে বৈঠকটি হয়েছিল তার নাম ছিল আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক। জীবনের প্রথম জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি ছিলাম যারপরনাই উত্তেজিত, আহ্লাদিত এবং একই সঙ্গে রোমাঞ্চিত।

সংসদীয় দলের বৈঠকে সংসদ নেতা বা প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন এবং সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি মোতাবেক সংসদ সদস্যবৃন্দ কিভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।

উল্লিখিত বৈঠকটি কী বারে এবং কোন তারিখে হয়েছিল তা আমার মনে নেই। তবে সেদিনকার বৈঠকের আলোচনার প্রতিটি শব্দ আমার মনে আছে। কারণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন যা বলেছিলেন তা তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুর বেলা পর্যন্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন।

আজ এত বছর পর সেদিনের বৈঠকের কথা কেন মনে পড়ল তার সে কথা? বলার পূর্বে আমার রাজনৈতিক জীবনের ছোট্ট একটি স্মৃতি আপনাদের বলা আবশ্যক এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাঁরা চেষ্টা করছেন তাঁরা হয়তো আমার স্মৃতিকথা থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

জাতীয় রাজনীতিতে আমার অভিষেক ২০০১ সালে। ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাশন উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম। তৃণমূলে নিয়মিত যাতায়াত-দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে লবিং করার পাশাপাশি দলীয় প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক করার জন্য আমি চেষ্টা চালাচ্ছিলাম।

আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন আওয়ামী লীগের অর্থসংকট চরমে। ১৯৯৬-২০০১ সাল অবধি ক্ষমতায় থাকার পরও দলের বিরুদ্ধে তেমন আর্থিক দুর্নাম ছিল না। কিছু ধড়িবাজ ব্যবসায়ীর শেয়ার মার্কেট লুট, কোরিয়ান ফ্রিগেড কেনার কমিশন নিয়ে কেলেংকারি ছাড়া বড় মাপের কোনো দুর্নীতির খবর ছিল না। ফলে ২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর দলের বড় বড় নেতা ব্যক্তিগতভাবে এবং দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ে।

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমাউল্লিখিত অবস্থায় আওয়ামী লীগে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কদর বেড়ে যায় এবং আমার আসনেও নব্য টাকাওয়ালা কয়েকজনের উৎপাতে আমি রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠি।

নব্য টাকাওয়ালাদের রাজনৈতিক মেধা ছিল না। ফলে আওয়ামী লীগের টাউট-বাটপাড়দের খপ্পরে পড়ে তারা দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়। তাদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলতে থাকেন অমুককে এত টাকা দিয়ে এসেছি নমিনেশন কিনে এনেছি ইত্যাদি। কথাগুলো স্বয়ং শেখ হাসিনার কানে যায় এবং তিনি আমাকে একদিন ধানমণ্ডির অফিসে ডেকে পাঠান। আমি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করি। তিনি নব্য টাকাওয়ালা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বেফাঁস কথাবার্তার সারমর্ম শুনে রাগে-ক্রোধে অগ্নিশর্মা হন এবং নির্দেশ দেন যে ওসব লোক যেন আওয়ামী লীগের নাম ধরে এলাকায় ঢুকতে না পারে।

২০০২ সালের সেই বৈঠকে শেখ হাসিনা অন্তত তিন-চার ঘণ্টা সময় আমাদের দিয়েছিলেন। রাজনীতিতে টাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, অতীতের মতো ভুল করব না। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে নেতাকর্মীরা যেন সচ্ছল হতে পারে সেই ব্যবস্থা করব। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করা জাসদের সঙ্গে সমঝোতা, জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্য ইত্যাদি নিয়ে এমন সব নির্জলা সত্য কথা বলেছিলেন, যা আজকের প্রেক্ষাপটে কল্পনাও করা যায় না।

শেখ হাসিনার চিন্তাধারা, বিশ্বাস এবং কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা ছিল ২০০৪ সালের জুলাই অবধি। কিন্তু একই বছরের ২১ মে আগস্টের গ্রেনেড হামলা তাঁর সব বিশ্বাস তছনছ করে দেয়। তাঁর মনের মধ্যে একধরনের প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি করে, যা ২০০৬ সালের ১/১১-এর সময় এসে আবার তাঁকে নতুন বাস্তবতায় মুখোমুখি করে। ১/১১-এর সময় তিনি সত্যিকার অর্থেই ভেঙে পড়েছিলেন এবং তাঁর সেই ভেঙে পড়ার কাহিনি তিনি নিজ মুখে বলেছিলেন ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে।

আপনাদের মধ্যে যাঁরা মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের ১/১১-এর অন্তর্নিহিত কাহিনি জানেন তাঁদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে ইঙ্গ-মার্কিন সমর্থনে সেই সময়ের সেনাসমর্থিত সরকার দেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদের নামে ব্যবসায়ী, আমলা এবং রাজনীতিবিদদের জীবন কিভাবে জাহান্নামে পরিণত করেছিল। অধিকন্তু মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়নের নামে শেখ হাসিনা এবং বেগম খলেদা জিয়াকে জেলে ঢুকিয়ে কী করেছিল তা বেগম জিয়া মুখ ফুটে না বললেও শেখ হাসিনা কিন্তু অনেক কথাই ফটাফট বলে গিয়েছেন। তাঁর দলের শীর্ষ নেতারা শেখ হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগ গঠন করার জন্য কিভাবে সেনা কর্মকর্তাদের পেছনে ঘুরঘুর করেছেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কী সব কথা বলেছেন তা হুবহু শেখ হাসিনাকে শোনানো হতো তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার জন্য।

মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনদের উল্লিখিত কাজকর্মে শেখ হাসিনা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে প্রচণ্ড নিয়তিনির্ভর হয়ে পড়েছিলেন। ফলে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নবম সংসদ নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের বিজয়কে তিনি মনে করতেন স্বয়ং আল্লাহ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন এবং শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি শেখ হাসিনার এই বিশ্বাসের ওজন টের পেলাম সেদিনের বৈঠকে তাঁর প্রথম প্রশ্নের মাধ্যমে। বৈঠকের শুরুতেই তিনি বললেন, তোমরা যারা প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছ তারা দাঁড়াও। আমরা দাঁড়ালাম এবং আমাদের সংখ্যাধিক্য দেখে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বললেন—

‘এও কি সম্ভব! আল্লাহ কি না পারেন। অথচ কারাগারে থাকতে প্রতিদিন ভাবতাম আজই হয়তো শেষ দিন। বুঝেছি তোমরা নয়, স্বয়ং আল্লাহ আমাকে ক্ষমতায় এনেছেন নিশ্চয়ই কোনো বড় কিছু করার জন্য। সুতরাং তোমাদের কথায় নয় কিংবা কাঁটা খাওয়া বিলাই স্বভাবের ভীতুতের কথায় নয় আমার যা ভালো মনে হবে তা-ই করব। এরপর তিনি দলের সংস্কারবাদী নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, তোমাদের ক্ষমা করেছি, কিন্তু তোমাদের কুকর্ম ভুলিনি।

২০১২ সাল অবধি শেখ হাসিনার মধ্যে এক অনন্য সাধারণ ডিটারমিনেশন ছিল। দলের ভেতরে ও বাইরে গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি ছিলেন অতিশয় সহনশীল। আমি নিজে সালমান রহমান, সাহারা খাতুন, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, শাজাহান খান, সৈয়দ আবুল হোসেন, দীপু মনিসহ বহু প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে লিখেছি এবং সভা-সমিতি-টেলিভিশন টক শো এবং সংসদে নির্মম নিষ্ঠুর সমালোচনা করেছি। কিন্তু দলের কোনো নেতাকর্মী কিংবা স্বয়ং শেখ হাসিনা কোনো দিন একটি টুঁ শব্দ করেননি। বিএনপিও সংসদের ভেতরে ও বাইরে তীব্র ভাষায় ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে কথা বলার পরও গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চ এবং পরবর্তী সময়ে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনা শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক বোধ-বুদ্ধি-বিশ্বাস ও আস্থাকে তীব্র ঝাঁকুনি দেয়। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং ভারতের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
উল্লিখিত অবস্থায় ২০১৪ সালের বিনা ভোটে, তারপর ২০১৮ সালের রাতের ভোট এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের আমি ডামি নির্বাচন তাঁকে গণতন্ত্র থেকে সরিয়ে অদ্ভুত এক মানবীতে পরিণত করে। হাল আমলে তাঁকে অনেকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে গালি দেন। কিন্তু ইতালির মুসোলিনির ফ্যাসিজম এবং হিটলারের নাৎসিবাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের অন্ত্যমিল নেই বললেই চলে। ফ্যাসিজম ও নাৎসিবাদের কালো থাবা ইতালি বা জার্মানির ওপর পড়েছে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো এবং রাষ্ট্রশক্তিদ্বয় একের পর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের পর এশিয়াতে যুদ্ধের বিস্তার ঘটাল। এই সময় পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে আমেরিকা, ইংল্যান্ড হাজার হাজার গোয়েন্দাকে জার্মানি ও ইতালিতে পাঠায় এবং ইহুদি ও সরকারবিরোধী সম্প্রদায়কে হাত করে হিটলার ও মুসোলিনিকে উত্খাতের যে চেষ্টা চালায় তা সামাল দেওয়ার জন্য যে পৈশাচিক নির্মমতা হিটলার-মুসোলিনি শুরু করেন তার সঙ্গে নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের কার্যত কোনো সম্পর্ক নেই।

কালের বিবর্তনে ফ্যাসিবাদ এখন ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় মতবাদ। জার্মানিতেও হিটলার সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। এমনকি ভারতে যখন একবার মহাত্মা গান্ধী ও হিটলারের জনপ্রিয়তা নিয়ে জরিপ হয়েছিল তখন দেখা গেল ভারতবাসী হিটলারের পক্ষে রায় দিয়েছে। সুতরাং মানুষের রাজনৈতিক বোধ-বুদ্ধি-অনুভূতি ও সমর্থন এতটাই টলটলায়মান, যার ওপর নির্ভর করে বেশিদিন স্থির থাকা অসম্ভব।

আজ এত দিন পর উল্লিখিত ঘটনা মনে পড়ল দেশের সাম্প্রতিক দুরবস্থা দেখে। একদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, অন্যদিকে তৃতীয় দফায় বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর ভাঙার জন্য বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার প্রাণপণ চেষ্টা। আওয়ামী লীগের লোকজনের হুমকি-ধমকির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লকডাউন, শাটডাউন, অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণ, মারামারি, কাটাকাটি ইত্যাদির ফলে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাস ১৮ কোটি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বাংলাদেশ যে বালা মুসিবত আজাব গজবের কবলে পড়েছে তা অতীতে কোনো দিন ঘটেনি। চলমান সমস্যা কোনো অবস্থাতেই শক্তি প্রয়োগে দমন সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে সবার আগে দরকার স্থির হয়ে চিন্তা করা, কেন আমরা আজকের দুর্দশার মধ্যে পড়লাম। তারপর পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, কিভাবে অতিদ্রুত চলমান সমস্যা সমাধান করে দেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গল্প চুরির অভিযোগ আলিয়া ভাটের বিরুদ্ধে Nov 19, 2025
img

ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী আবজালুল

‘ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন’ Nov 19, 2025
img
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Nov 19, 2025
জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত কী? | ইসলামিক প্রশ্নোত্তর Nov 19, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করতে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের Nov 19, 2025
img
আচরণবিধি মানলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: সিইসি Nov 19, 2025
img
বিজয় দিবসে অস্থিরতার আশঙ্কা নেই, এবারও প্যারেড হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
আজ তারা সুতারিয়ার জন্মদিন Nov 19, 2025
img
ভূমি ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্যোগ নিলো ঢাকা ওয়াসা Nov 19, 2025
img
স্ত্রীর প্রতি মুশফিকের বিশেষ কৃতজ্ঞতা Nov 19, 2025
img
ময়মনসিংহে ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্ততা Nov 19, 2025
img
সেই দিন খুব দূরে নয়, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ খেলবে : আসিফ মাহমুদ Nov 19, 2025
img
ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য এবার জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা Nov 19, 2025
img
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা Nov 19, 2025
img
সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না : রুনা লায়লা Nov 19, 2025
img
পানি এখানেই থামবে না আরো বহুদূর গড়াবে, হাসিনার বিচার প্রসঙ্গে রনি Nov 19, 2025
img
জকসুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিএস পদে লড়াই করবেন বাঁধনের সভাপতি মাবুদা Nov 19, 2025
img
৯০ সেকেন্ডের ‘বেবি শার্ক’ ভিডিও, ৪০ কোটি ডলারের ব্যবসা Nov 19, 2025
img
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত মামদানির Nov 19, 2025