ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে সরকারি তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে সালিশি কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রিটকারী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এক আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ুম। গত ৬ নভেম্বর পিডিবি চেয়ারম্যান ও জ্বালানি সচিবকে তিন দিনের মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একতরফা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিল করতে আইনি নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী।
রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করতে এবং তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন হাইকোর্ট। তখন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথি দাখিল করতেও বলা হয়। একইসঙ্গে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে একটি রুলও জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদানির সঙ্গে অসম বিদ্যুত চুক্তি সম্পাদনের পূর্বের যে সমস্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত হাইকোর্টে এসেছে তাতে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানা যায়।
আবেদনকারী আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আসার আগেই যদি সিঙ্গাপুরে আদানি তাদের পাওনা নিয়ে সালিশি কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে ওই তদন্তের গুরুত্ব থাকবে না। এ কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।
আদানির সঙ্গে করা চুক্তিতে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে জানান আইনজীবী। ঠিক এক বছর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ চুক্তি নিয়ে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। এতে আদানির সঙ্গে হওয়া চুক্তির বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন আদালত।
কেএন/টিএ