শততম টেস্ট উদযাপনে সম্ভবত এর চেয়ে ভালো উপায় হতে পারে না! কিংবদন্তিদের কাতারে নাম লিখিয়ে নিজের মাইলফলক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। তার কল্যাণে গতকালই (বুধবার) বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় লেখা হয়েছে। ভক্ত-অনুরাগীদের সাক্ষী করে ম্যাজিক ফিগার ছুঁঁয়ে সেই অধ্যায় রাঙালেন তিনি।
আগেরদিন ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন মুশফিক। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শের-ই বাংলায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন। যা টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও। অবশ্য তিনি রেকর্ডটি ভাগাভাগি করছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে, টেস্টে তারা দুজনই ১৩টি সেঞ্চুরি করলেন।
শুধু সেঞ্চুরি নয়, মুশফিক এই দিনে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের একটি এলিট ক্লাবেও নাম লেখালেন। বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মাত্র আটজন উইকেটকিপার ১০০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন। টেস্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত একশ টেস্ট খেলেছেন ৮৪ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ১১ জন ক্রিকেটার। বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে সেই তালিকায় নিজের নাম লেখালেন মুশফিক।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই এক রান করেই ম্যাচটি আরও স্মরণীয় করে তুললেন ৩৮ বছর এই তারকা। এর আগে একই কীর্তি রয়েছে– ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রি (১০৪), পাকিস্তানের জাভেদ মিঁয়াদাদ (১৪৫), ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ (১৪৯), ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট (১০৫), পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক (১৮৪), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (১২০, ১৪৩*), দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (১৩১) ও হাশিম আমলা (১৩৪), ইংল্যান্ডের জো রুট (২১৮) এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার (২০০)।
এই তালিকায় থাকা সর্বশেষ দুজনই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শততম টেস্টে। সেই কীর্তিতে ভাগ বসানোর সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনে। অবশ্য তার সামনে এখনও দ্বিতীয় ইনিংস বাকি। আরও একটি রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে মিস্টার ডিফেন্ডেবলের সামনে। এখন পর্যন্ত কেবল অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন।
আইকে/এসএন