শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার করে আপনি সারজিস আলমকে খুশি করতে পেরেছেন। কারণ সে বলেছিল, শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। তো আপনি তাকে খুশি করলেন, আমরা বাকি দেশবাসী কি গাঙ্গের জলে ভেসে আসছি?’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিচারের রায় খুবই তড়িঘড়ি করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বিবৃতি দিয়েছে। তারা কি টাকা খেয়ে বিবৃতি দিয়েছে। না, কারণ তারা শেখ হাসিনার আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, সেই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও বিবৃতি দিয়েছিল।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘এই রায় নিয়ে আলোচনা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে।
আগামীতে আরো অনেক আলোচনা হবে। কাজেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কাজকর্মগুলো যেন সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিচারের রায় নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিচার প্রশ্ন উঠেছে। বিচার প্রক্রিয়া কি যথাযথ ছিল? বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে কি অতিরিক্ত তাড়াহুড়া হয় নাই? একটা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেবেন, সেটা এত অল্প সময় কিভাবে হয়। এক বছরের মধ্যে চারবার আইন চেঞ্জ হয়েছে। তো বোঝাই যাচ্ছে এটা মোটিভেটেড। এই প্রশ্নগুলো তো উঠবে।
মাসুদ কামাল বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে কাজটা করেছেন, তার জন্য তো যেকোনো ফৌজদারি আদালতে উনি অপরাধী হবেন। এটার জন্য একটা দ্রুত বিচার আদালত করে দিতেন। সেখানেই হয়ে যেত। কিন্তু এত তাড়াহুড়া ছিল যে, নির্বাচনের আগেই এটা করতে হবে। কারণ, প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে শুনেছি ওনার তিনটা কমিটমেন্ট ছিল। এক নাম্বার কমিটমেন্ট হলো বিচার করা, দুই নাম্বার কমিটমেন্ট হলো সংস্কার করা, তিন নাম্বার কমিটমেন্ট হলো নির্বাচন করা। আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি এই কমিটমেন্টগুলো আপনি কোথায় পেয়েছেন?’
এমকে/এসএন