টলিউডের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ নায়ক জিতু কমল ও নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায়ের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব এবার দর্শকদের চোখে পড়ল আরও স্পষ্টভাবে। জিতুর সঙ্গে দিতিপ্রিয়ার মতানৈক্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রযোজনা সংস্থা আর দ্বন্দ্ব মেটাতে পারছে না। সোমবারের বৈঠকে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জিতু আর মেগার অংশ নেবেন না।
এরপর থেকেই সিরিয়ালের শ্যুটিং চলছে জিতু ছাড়া। গল্পে দেখানো হচ্ছে অসুস্থ আর্য চরিত্রটি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
তারা চ্যানেল ও প্রযোজকদের কাঠগড়ায় তুলছেন। নতুন আর্য খোঁজার চেষ্টা করা হলেও কেউ রাজি নন। রণজয় বিষ্ণু-সহ একাধিক অভিনেতা চরিত্রটি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
চ্যানেলও জিতু ছাড়া সিরিয়াল চালানোর ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত। তারা আশঙ্কা করছেন, নতুন আর্য হলে টিআরপিতে বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে। তাই এখনও জিতুকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জিতু এখনও NOC জমা দেননি, ফলে দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
জিতু দিতিপ্রিয়ার মনোমালিন্য নতুন নয়। কয়েক মাস আগে ‘প্রেগন্যান্সি’ সংক্রান্ত বিতর্কে আগুনের ঘি জ্বলে ওঠে, পরে চ্যাট ফাঁস হয়। সম্প্রতি শুটিং সেটে দিতিপ্রিয়ার অসহযোগিতা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। তাঁকে অপেক্ষা করানো, অসুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ এবং ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সীমাবদ্ধতা আরোপ সব মিলিয়ে জিতু অপমানিত বোধ করেন।
তবু দর্শকরা এখনও ধারাবাহিককে ভালোবাসেন। বৃহস্পতিবারের টিআরপি তালিকায় ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। প্রশ্ন এখন চ্যানেল ও প্রযোজকদের সামনে জিতুকে ফেরানো হবে, নাকি তাঁকে ছাড়া গল্প চালানো হবে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চিত্রটা স্পষ্ট হবে।
এমকে/এসএন