জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রুল

জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

রোববার (২৩ নভেম্বর) এক রিট শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে 'ধরাছোঁয়ার বাইরে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা'- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা। ছাত্রদের প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশও নেন তারা। ধারণা করা হচ্ছিল, ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় তারা এখন গোপনে, এমনকি প্রকাশ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ তালিকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক, সহকারী পরিচালক, পরিদর্শকসহ অন্তত ৩০ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি দলীয়করণ করা হয়। এতে শিক্ষার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও অধিদপ্তরগুলোয় দলীয় মতাদর্শের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়।

বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে পরিদর্শক পর্যন্ত প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর ফলে মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তারা পড়ে যান পেছনে। এখনো তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। অথচ পুরোনো দলবাজ সেই কর্মকর্তাদের একটা বিরাট অংশ শিক্ষা বিভাগ দাবড়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ উপযুক্ত জায়গায় হচ্ছেন পদায়ন। সম্প্রতি মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) পদে দুর্নীতিবাজ এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এছাড়া জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) মহাপরিচালক (ডিজি) পদেও বিতর্কিত এক কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে চলছে সমালোচনা।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মার্কিন পপ গায়িকা কেটি পেরির সঙ্গে ট্রুডোর প্রেম, নীরবতা ভাঙলেন প্রাক্তন স্ত্রী Nov 23, 2025
img
নিজের শততম ম্যাচে সেরা মুশফিক, সিরিজ সেরা তাইজুল Nov 23, 2025
img
পলাতক আ. লীগ নেতাদের রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা কম : গোলাম মাওলা রনি Nov 23, 2025
img
আইসিইউতে বারিশা হকের স্বামী Nov 23, 2025
img
টিজারেই হৃদয় ছুঁলো ‘তু মেরি মে তেরা’ Nov 23, 2025
img
বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে ঘিরে মানিকগঞ্জে সংঘর্ষ Nov 23, 2025
img
বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে ঘিরে মানিকগঞ্জে সংঘর্ষ Nov 23, 2025
img
কোটি মানুষকে চাকরি কীভাবে দেব, হোমওয়ার্ক করেই বলেছি: খসরু Nov 23, 2025
img
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২০ নভেম্বর ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ১১৭ অফিস বন্ধ Nov 23, 2025
img
বিএনপি সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাবে না: আমীর খসরু Nov 23, 2025
img
দেশের মঙ্গলের জন্য বিএনপির বিকল্প নেই : আব্দুস সালাম Nov 23, 2025
img
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই তাসকিন Nov 23, 2025
img
সুখ মানে অর্থ নয়, নিজের ভালোবাসার কাজ: সুনীল শেট্টি Nov 23, 2025
img
পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর Nov 23, 2025
img
নিউইয়র্কে মারুফের বাড়িতেই থাকেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি Nov 23, 2025
img
'জি লে জারা' বাতিল নয়, তবে অনিশ্চিত তারকা তালিকা Nov 23, 2025
img
কমনওয়েলথ মহাসচিবকে নির্বাচনের অগ্রগতি জানালেন সিইসি Nov 23, 2025
img
ছেলেটাকে খুব ছুঁয়ে দেখতে মন চায়: মাহিয়া মাহি Nov 23, 2025
img
আইরিশদের বড় ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ Nov 23, 2025
img
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু Nov 23, 2025