পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক বছরে ১০০ ছক্কার রেকর্ড গড়লেন শাহিবজাদা

ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে শুরু করল পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহানের ছক্কার রেকর্ডের দিনে লঙ্কানদের রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে স্বাগতিকরা। পিএসএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন পাকিস্তানের এই ওপেনার ।

চলমান ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৫ বলে ঝড়ো ৮০ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। পাশাপাশি এক পঞ্জিকা বছরে ১০০ ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়ে তিনি প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেন।



রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৮ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ফারহানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ওপেনার ফারহান ৬ চার ও ৫ ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত থেকে ৮০ রান করেন। চলতি বর্ষে তার ছক্কার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২–এ। বিশ্বে ১২ জন ব্যাটারের এমন কীর্তি থাকলেও পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি প্রথম।

এ বছর ফারহানের চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন শুধু দু’জন, করনবির সিং (১২২) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান (১০৩)। এছাড়া ২০২৫ সালে টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৫টি অর্ধশতকের রেকর্ডও এই তিনজনের যৌথ দখলে। করনবির ও পুরান আগেই ১৫টি ফিফটি করেন, ফারহান পরে তাদের ছুঁয়ে যান। জস বাটলার করেছেন ১৪টি এবং শাই হোপ ১৩টি ফিফটি।

আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল শোয়েব মালিকের ৫৭ রান (২০০৭ বিশ্বকাপ, জোহানেসবার্গ)। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল ৮০ রান করেন ফারহান। একই ম্যাচে তার ৫ ছক্কা লঙ্কানদের বিপক্ষে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটারের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ।

সাম্প্রতিক টি–টোয়েন্টি এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন ফারহান। দুটি ফিফটি এবং ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ৪০ রানের ইনিংসসহ পুরো আসরে তার সংগ্রহ ছিল ২১৭ রান। অথচ জাতীয় দলে প্রথম চার টি–টোয়েন্টিতে তিনি ৩০ রানের গণ্ডি পর্যন্তও যেতে পারেননি।

সেই সূচনা ব্যর্থতা কাটিয়ে এখন ধারাবাহিকভাবেই ব্যাট হাতে ছড়াচ্ছেন আলো।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তির পথ খুঁজি: শাহরুখ Nov 23, 2025
img
শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, স্বপ্ন শেখাতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা Nov 23, 2025
img
সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হবে : ইসি সচিব Nov 23, 2025
img
ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে আলেমদের ব্যবহারের কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না : রেজাউল করীম Nov 23, 2025
img
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছাড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা Nov 23, 2025
img
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বেগম খালেদা জিয়া Nov 23, 2025
img
জাফর ইকবাল স্যার তো গর্তে, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে খুঁজছি : মঞ্জুরুল আলম পান্না Nov 23, 2025
img
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্বেগ Nov 23, 2025
img
শাহাজাহান চৌধুরীর বক্তব্যে বিতর্ক, গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির Nov 23, 2025
জায়েদ খানের প্রত্যাখ্যানের শিকার হতে হয়েছিল মাহিয়া মাহিকে Nov 23, 2025
"সাকিব ভাই পোস্ট দিয়েছেন এটা ভালো লাগার বিষয়": তাইজুল Nov 23, 2025
img
সাকিবকে নিয়ে একাদশ ঘোষণা রয়্যাল চ্যাম্পসের Nov 23, 2025
৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশের সব তেল–গ্যাস কূপে ড্রিলিং বন্ধ Nov 23, 2025
img
সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণা Nov 23, 2025
img
সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 23, 2025
img
ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত পুত্র’ হিরুর দুর্নীতি, অনুসন্ধানে দুদক Nov 23, 2025
img
মুথুসামি-জানসেনে ভারতকে প্রোটিয়াদের কঠিন চ্যালেঞ্জ Nov 23, 2025
img
কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না: সালাহউদ্দিন Nov 23, 2025
img
জাতিসংঘ-বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অভিবাসী কল্যাণে নতুন সম্ভাবনা Nov 23, 2025
img
ইমাম ও খতিবদের পেছনে ছিলাম, থাকবো: জামায়াত আমির Nov 23, 2025