এই মুহূর্তে গম্ভীরকে বদলানোর কথা ভাবছেন না টিম ম্যানেজমেন্ট

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে কানাঘুষা। কলকাতা টেস্টের পর গুয়াহাটি টেস্টে ভারত হেরেছে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। রানের হিসেবে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় হার। ঘরের মাঠে সবশেষ তিন সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গম্ভীর নিজেও বোর্ডের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সত্বেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে বরখাস্ত করা হবে না বলে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র এনডিটিভি'কে জানিয়েছে।

ঘরের মাঠে এক বছরে ভারত দ্বিতীয়বার হতাশাজনক ফল করায় গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিছু রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছিল যে ভিভিএস লক্ষ্মণ হয়তো লাল বলে ভারতের কোচ হিসেবে গম্ভীরের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। তবে বিসিসিআই গম্ভীরের প্রতি আস্থা বজায় রেখেছে এবং সূত্রটির দাবি, দল পুনর্গঠনের কাজে তাকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ শেষ হওয়ার পর টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকদের মধ্যে একটি বৈঠক হবে। সূত্রের ভাষায়, 'আমরা এই মুহূর্তে গৌতম গম্ভীরকে বদলানোর কথা ভাবছি না। তিনি দলকে পুনর্গঠন করছেন। তার চুক্তি ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলবে।'

বিসিসিআইয়ের সেই সূত্র আরও যোগ করেছে, 'দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ের পর টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের মধ্যে একটি বৈঠক হবে। গম্ভীরকে জিজ্ঞেস করা হবে কীভাবে রূপান্তরের সময় টেস্ট দলের পারফরম্যান্স উন্নত করা যায়।'

এর আগে, ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারও গম্ভীরের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'তিনি একজন কোচ। কোচ দলকে প্রস্তুত করতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে খেলোয়াড়কে বুঝিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দেরই পারফর্ম করতে হয়।

এখন যারা গম্ভীরকে দায়ী করছেন, তাদের পাল্টা প্রশ্ন—যখন তার অধীনে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তখন আপনারা কী করেছিলেন? যখন ভারত এশিয়া কাপ জিতেছিল, তখন কি আপনারা বলেছিলেন তাকে বাড়তি চুক্তি দেওয়া উচিত, বা একদিনের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টিতে আজীবন চুক্তি দেওয়া উচিত? তখন বলেননি। দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলেই শুধু আপনারা কোচকে দোষারোপ করেন।'

আইকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জেনে নিন স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Dec 20, 2025
img
ময়নাতদন্তের জন্য হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে Dec 20, 2025
img
দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে হাদির জানাজায় দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন : জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি ‘ইক্কিস’ ঘিরে আবেগে ভাসছে নেটদুনিয়া Dec 20, 2025
img
মাদুরো সরকারকে ‘অবৈধ’ বললেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক Dec 20, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার Dec 20, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ Dec 20, 2025
img
‘সকালে মাঠে গিয়ে দেখি সব শেষ’ Dec 20, 2025
img
ভারতকে হারানোর ম্যাচেও জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাফুফেকে Dec 20, 2025
img
সিরিয়ায় বড় পরিসরে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র Dec 20, 2025
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই মাস আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পরিবর্তন Dec 20, 2025
img
‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত শিল্পকলার সব অনুষ্ঠান Dec 20, 2025
img
বিপিএল আয়োজন নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিল বিসিবি Dec 20, 2025
img

সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ

এক মাসে সবচেয়ে স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য Dec 20, 2025
img
অখণ্ড সিরিজের ইতি, বাতিল তৃতীয় কিস্তি Dec 20, 2025
img
লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ওসমান হাদির মরদেহ দেখতে গেলেন জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ ছায়ানটের Dec 20, 2025
img
দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক : সেলিমুজ্জামান Dec 20, 2025
img

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বিবৃতি

কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে Dec 20, 2025