গণভোটসহ ৫ দাবিতে চট্টগ্রামে ৮ দলীয় জোটের সমাবেশ আজ

চট্টগ্রামে ৮ দলীয় জোটের ডাকা গণসমাবেশ আজ বুধবার লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আয়োজক দলগুলো আশা করছে, যৌক্তিক পাঁচ দফা দাবির সমর্থনে এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সমাবেশকে সফল করতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাইকিং, প্রচার এবং প্রস্তুতিমূলক আয়োজন শেষ করেছে আয়োজকেরা। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, আশেপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা রওনা হচ্ছেন এবং জুমার নামাজ শেষেই সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।

আয়োজকেরা জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি এখন জনগণের সার্বিক প্রত্যাশায় পরিণত হয়েছে। তাদের মতে, বিগত সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে এবং রাষ্ট্রকে দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই অপরাধগুলোর দৃশ্যমান বিচার ছাড়া দেশে গণতন্ত্র স্থায়ী হবে না।

৮ দলের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন।
২. জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. সব দলের জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৪. বিগত সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

সমাবেশে জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন -ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চানসহ অন্যান্য নেতারা।

প্রধান অতিথি হিসেবে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমান বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন : সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 21, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে আনসার সদস্যদের বহনকারী বাস Dec 21, 2025
img
দুই হাজার পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান Dec 21, 2025
img
বায়ার্নের ইনজুরির তালিকা আরও বাড়ল Dec 21, 2025
img
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সিলেট সেন্টারের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে তিন শতাধিক ধ্যানিদের নিয়ে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত Dec 21, 2025
img

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলা

তদন্ত কর্মকর্তা জানে আলম খানের দ্বিতীয় দিনের জেরা চলছে Dec 21, 2025
img
ভালোবাসা আর পরিবারই জীবনের আসল আশ্রয়: জাকির খান Dec 21, 2025
img
জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনকালীন’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুতিনের Dec 21, 2025
img
অনুভূতিতে নাড়া দিতে না পারলে, ভাল ছবি বলা যাবে না: শাশ্বত চ্যাটার্জি Dec 21, 2025
img
ঢাবির স্থগিত হওয়া বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর Dec 21, 2025
img
বাংলাদেশি হাইকমিশনারের মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ Dec 21, 2025
img
আতিফ আসলামের স্থগিত হওয়া কনসার্ট নিয়ে এলো সুখবর Dec 21, 2025
img
বেগুনি রঙের পোশাকে নজর কাড়লেন চিত্রনায়িকা বুবলী Dec 21, 2025
img
দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি Dec 21, 2025
img
ফিফার সেরা একাদশে রাফিনিয়া না থাকায় ক্ষুব্ধ ফ্লিক Dec 21, 2025
img
চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী বুইশ্যা আটক Dec 21, 2025
img
হাদির সমাধিস্থল নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি বানোয়াট-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ডিএমপি Dec 21, 2025
img
বানারীপাড়ায় কেন্দ্রীয় আ. লীগ নেতা ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার Dec 21, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জকসুর শিবির প্যানেল Dec 21, 2025
img
টেস্টের ইতিহাসে প্রথমবার দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড Dec 21, 2025