ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২১৪ কোটি ৯০ লাখ ৯ হাজার ৮৬০ টাকা।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৭ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

ভারতের মেসার্স নিউট্রিয়াগ্রো ওভারসিজ ওপিসি প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এই সিদ্ধ চাল আনতে ব্যয় হবে ২১৪ কোটি ৯০ লাখ ০৯ হাজার ৮৬০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৩৫১.৪৯ (তিনশত একান্ন দশমিক চার নয়) মার্কিন ডলার।

এর আগে গত২৪ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৬ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সিঙ্গাপুরের এস অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এই চার কিনতে ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৫ টাকা।

এর আগে, ১৮ নভেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকার। সিঙ্গাপুরের মেসার্স আদিত্য বিড়লা গ্লোবাল ট্রেডিং (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এই চাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ২১৬ কেটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৫৪.১৯ (তিনশত চুয়ান্ন দশমিক এক নয়) মার্কিন ডলার।

তার আগে, ২২ অক্টোবর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ও জি টু জি ভিত্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মায়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কেনার অনুমতি দেওয়া হয়৷ এরমধ্যে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার টন আতপ চাল রয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ ০৮ হাজার ৫৭০ টাকা।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, নামছে তাপমাত্রা Dec 14, 2025
img

উইমেন’স বিগ ব্যাশ

লির দুর্দান্ত ইনিংসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল হোবার্ট হারিকেন্স Dec 14, 2025
img
দেশকে যারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না: প্রিন্স Dec 14, 2025
img

লিগ ওয়ান

মেজের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরল পিএসজি Dec 14, 2025
img

ইসির পরিপত্র জারি

গণভোটের ব্যালট হবে গোলাপী, ফেলতে হবে একই বক্সে Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

এভারটনের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে শীর্ষ চারে চেলসি Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেপ্তার Dec 14, 2025
img
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে : জবি উপাচার্য Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

উলভসের ২ আত্মঘাতী গোলে জয়ে ফিরল আর্সেনাল Dec 14, 2025
img
সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিন্দা Dec 14, 2025
img
নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাবেক এমপি পুত্রের প্রাণহানি Dec 14, 2025
img
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ফেরার ম্যাচে সালাহর অ্যাসিস্ট ও একিটিকের জোড়া গোলে ব্রাইটনকে হারাল লিভারপুল Dec 14, 2025
img
হাদির ঘটনায় সিলেট সীমান্তে বিজিবির বাড়তি নজরদারি Dec 14, 2025
img
ফিরছেন তারেক রহমান, বাস ভবনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি Dec 14, 2025
img
নিজের খুশি-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অক্ষয় খন্না Dec 14, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ Dec 14, 2025
img
আজ ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস Dec 14, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিজিবির Dec 14, 2025
img
মুস্তাফিজের খরুচে বোলিং, রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় পেল দুবাই ক্যাপিটালস Dec 14, 2025