চেনা দুই প্রতিপক্ষ নির্বাচন বানচাল ও ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।‎

চেনা দুটি প্রতিপক্ষ নির্বাচন বানচাল এবং ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সাম্প্রতিক গুলির ঘটনা একটি চিহ্নিত দল করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভা যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ৭১ সালকে ভুলতে পারি না। আমরা যারা দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি, এই দেশের জন্য একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনে দেয়া হয়েছে। যার ফলে আমরা এখানে বেঁচে আছি, টিকে আছি এই ভূখণ্ডে। আমরা কি সেই শক্তির দিকে থাকবো? নাকি আমরা যারা সেটাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল তাদের দিকে থাকবো?

বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমরা মনে করি। সেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে নির্বাচনে ধানের শীষের মার্কাকে বেছে নেয়া। এই কারণে এবারের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‎আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, চেনা দুটি প্রতিপক্ষ নির্বাচন বানচাল এবং ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের চুপ করিয়ে দিতে চায় তারা।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যে, তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি, ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলববাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি, ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ Dec 15, 2025
img
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও হারল দুবাই Dec 15, 2025
img
দেশের ক্রান্তিকাল কাটাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার আহ্বান সালামের Dec 15, 2025
img
সুপ্রিম কোর্টের এজলাস কক্ষে ‘অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির’ প্রবেশ নিষিদ্ধ Dec 15, 2025
img
জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে পারেননি আনিস আলমগীর, রাতে থাকতে হচ্ছে ডিবিতে Dec 15, 2025
img
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার, ফেরত পাঠানো হলো ১২,৩৬৫ জনকে Dec 15, 2025
img
বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, চবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ছাত্রদলের Dec 15, 2025
img
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সকল অপশক্তি পরাস্ত হবে : ইশরাক Dec 15, 2025
img
বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Dec 15, 2025
img
সিলেটে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ গেল যুবকের Dec 15, 2025
img
আমরা ভালো করেই জানি কারা বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়েছিল: মির্জা ফখরুল Dec 15, 2025
img
তারেক রহমান লন্ডনে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ১৬ ডিসেম্বর Dec 15, 2025
img
নাশকতা মামলায় যমুনা অয়েলের সিবিএ নেতা কারাগারে Dec 15, 2025
img
কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
পেশাজীবীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন তারেক রহমান Dec 15, 2025
img
ওমরাহ করানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভোট চাচ্ছেন জামায়াত প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল Dec 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে হামলায় প্রাণ গেল ১২ জনের, হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ Dec 15, 2025
img
৮ হাজার ৫০১টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের Dec 15, 2025
img
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার অটুট থাকবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 15, 2025