চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি, একই সঙ্গে কমেছে দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, এতে সন্তুষ্ট পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বন্দরে পেঁয়াজের বিক্রি। বন্দরে মূলত নাসিক ও ইন্দ্রজাতের পেঁয়াজি বেশি আমদানি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ইন্দ্র নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫ টাকা যা গত দুইদিন আগেও বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজি দরে।
হিলির পেঁয়াজ আমদানি কারক নাফিস ইকবাল সাদ বলেন, হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর গুলো দিয়ে প্রতিদিনই পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে। তাছাড়া দেশীয় মুড়িকাটা ও পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামে। এভাবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
হিলি বন্দরের পেঁয়াজের পাইকার সেলিম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে গুণগত মান অনেক ভালো। গত দুইদিন আগেও বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকা, সে পেঁয়াজ আজকে কিনলাম ৬৫ টাকা কেজি দরে। দাম কমার কারণে আজকে দুই ট্রাক পেঁয়াজ কিনেছি। এইসব পেঁয়াজ যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট গৌরীপুরসহ বিভিন্ন প্রান্তে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি মাসের (৭ই ডিসেম্বর) থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয় আজকে রোববার (১৪ই ডিসেম্বর) পর্যন্ত। এ বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩৩ ট্রাকে ৯৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচা পণ্য শুল্কায়ন ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পণ্যটি ছাড় করনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করেন। প্রথম দিকে সারা বাংলাদেশে ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ মেট্রিক টন করে আইপি দেন। বর্তমানে ৫০ জন থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাচ্ছেন। এতে করে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসএস/টিকে