রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ঢুকছে আরেকটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অধ্যায়ে, যা খুবই সেনসিটিভ। জাতীয় নির্বাচন ও একযোগে গণভোটের দিকে। কাগজে-কলমে নির্বাচন কমিশন সময়সূচি দিয়েছে, নিয়ম-কানুন নির্ধারিত হয়েছে, ভোটের কাঠামো ঠিক করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন শুধু প্রশাসনিক প্রস্তুতির বিষয় নয়।
এটা মূলত সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশের প্রশ্ন।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, মানুষ যদি নিরাপত্তাহীন বোধ করে, যদি প্রার্থী বা রাজনৈতিক কর্মী প্রকাশ্যে হামলার শিকার হন তাহলে ভোটের দিন যতই দীর্ঘ হোক, ব্যালট যত রঙিনই হোক, ভোটাররা আতঙ্ক নিয়ে যাবে অথবা যাবে না এটাই স্বাভাবিক। তফসিল ঘোষণার পরপরই ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একজন রাজনৈতিক সংগঠক ও সম্ভাব্য প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সেই আতঙ্ককে আরো ঘনীভূত করেছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
জিল্লুর বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রকাশ্যে খুন হামলা সংঘর্ষের খবর নিয়মিত পাচ্ছি। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, দখল সব মিলিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে চাপের মুখে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এই বাস্তবতায় নির্বাচন মানে শুধু ভোটের দিন নয়, নির্বাচন মানে হলো পুরো সমাজের স্নায়ুচাপ।
জিল্লুর আরো বলেন, এই জায়গায় ধর্মীয় লেভেলিং আর সহিংস রাজনীতি একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে। যখন কাউকে কাফির বা দেশদ্রোহী বলে চিহ্নিত করা হয় তখন তার বিরুদ্ধে সহিংসতা অনেকের চোখে ন্যায্য হয়ে ওঠে। আবার যখন সহিংসতা ঘটে তখন সেটাকে ঢাকতে নতুন নতুন নৈতিক বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করা হয়। এই চক্র ভাঙা না গেলে নির্বাচন শুধু ক্ষমতা বদলের আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকবে। গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে না।
কেএন/টিকে