অর্থের অভাবে ২০২১ সালে লিওনেল মেসির মতো তারকাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল বার্সেলোনা। বেতন না বাড়িয়েও থাকতে চেয়েছিলেন মেসি।কিন্তু অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাও দলের সেরা ফুটবলারকে ধরে রাখতে পারেনি। সেই করুণ অবস্থার প্রায় ৪ বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারেনি কালাতানরা।
বর্তমানে বার্সেলোনার ঋণের পরিমাণ ২.৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি, যা ক্লাবটির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ক্লাবটির মালিকানা কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি স্প্যানিশ ক্রীড়া অনুষ্ঠান এল চিনিঙ্গুইতোর সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গালার্দো এই দাবি করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বার্সেলোনার ঋণের পরিমাণ ২.৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি, যা ক্লাবটির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে। এই আর্থিক সংকট বিবেচনায় রেখেই সৌদি যুবরাজের পক্ষ থেকে এমন বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
এই উদ্যোগ সৌদি আরবের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে সৌদি আরব সরাসরি বিনিয়োগ ও পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআউএফ)–এর মাধ্যমে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলায় বড় অঙ্কের অর্থ ঢেলেছে।
তবে বাস্তবতা হলো, বার্সেলোনা সম্পূর্ণভাবে বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব। কারণ ক্লাবটি সোসিও (সদস্য) মালিকানাধীন। বার্সেলোনার মালিকানা হাজার হাজার সদস্যের হাতে, যারা কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে রাজি নন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বোচ্চ যা সম্ভব, তা হলো ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট বা বাণিজ্যিক শাখায় বিনিয়োগ। সেক্ষেত্রে সৌদি পিআইএফ অর্থ ঢালতে পারলেও, মাঠের ফুটবল ও দৈনন্দিন পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণ পাবে না।
এমআর/টিকে