রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরের দিন শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনী যাত্রাকে এক লাফে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেল। এটি কেবল একজন সম্ভাব্য প্রার্থীর ওপর হামলা নয়। এটি নির্বাচনী পরিবেশ, নাগরিক আস্থা এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সক্ষমতা নিয়ে এক ধরনের গণপরীক্ষা।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরপরই জনমনে যে প্রশ্নগুলো ওঠে, ভোট হবে কি না? ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কি না? ভোট দিতে গেলে ভয় থাকবে কি না? এই ঘটনাটা সেগুলোকে বাস্তব করে তুলেছে। এবারের নির্বাচন আলাদা আরো একটি কারণে। নির্বাচন কমিশন ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই দিনে জুলাই জাতীয় চার্টার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোটের তফসিল দিয়েছে।’
জিল্লুর বলেন, ‘দুটো ব্যালট দুটো আলাদা রঙের কাগজ একটি দিনে।সময়সূচিতে মনোনয়ন জমা, যাচাই-বাচাই প্রত্যাহারসহ রোড ম্যাপ এসেছে। এই যুগপথ নির্বাচন ও গণভোট মানে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবার কেবল সরকার গঠন নিয়ে নয়। রাষ্ট্র কাঠামো, সংস্কার আলোচনা, ক্ষমতার ভারসাম্য ও প্রতিষ্ঠানগত বন্দোবস্ত নিয়ে।’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রেক্ষাপটে সহিংসতার একটা ঘটনা রাজনৈতিকভাবে বড় বার্তা হয়ে ওঠে। কারণ বার্তাটা শুধু প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো নয়, রাষ্ট্রকে বার্তাটা দেওয়া নির্বাচনকে অস্থির করাও সম্ভব। হাদিকে গুলি করার ঘটনাটি প্রকাশ্যে রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় জুমার নামাজের পর। এসব উপাদান একসঙ্গে নিরাপত্তার দৃশ্যমান ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।’
এসএস/টিকে