নারী স্বাধীনতা আর আত্মসম্মানের প্রশ্নে বরাবরই বলিউড অভিনেত্রী আপসহীন সুস্মিতা সেন। ফের একবার নিজের স্পষ্ট ও দৃঢ় বক্তব্যে আলোচনার কেন্দ্রে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি যে আত্মনির্ভরতার দর্শনে বিশ্বাসী, তা তাঁর সাম্প্রতিক কথাতেই আরও একবার পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
সুস্মিতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, নিজের হীরের আংটি তিনি নিজেই কেনেন। কোনও পুরুষের কাছে হাত পেতে নিজের শখ পূরণ করার মানসিকতা তাঁর নেই। তাঁর কথায়, তিনি মিস ইউনিভার্স হয়েছেন কারও ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য নয়, বরং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নিয়েই সেই মুকুট মাথায় তুলেছিলেন। এই উপলব্ধি থেকেই তিনি মনে করেন, স্বাবলম্বী হওয়ার চেয়ে বড় অর্জন আর কিছু হতে পারে না।
অভিনেত্রীর এই বক্তব্য শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন নয়, বরং সমাজের প্রতি এক শক্ত বার্তাও। আজও যখন অনেক নারী সম্পর্ক বা আর্থিক নিরাপত্তার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে বাধ্য হন, সেখানে সুস্মিতা নিজের জীবনদর্শন দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন আত্মনির্ভরতাই আসল স্বাধীনতা। নিজের প্রয়োজন, ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরণের জন্য কারও অনুমতির অপেক্ষায় না থেকে নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যেই তিনি খুঁজে পান সম্মান ও আত্মবিশ্বাস।
দীর্ঘ কেরিয়ারে নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়েও সুস্মিতা বারবার প্রমাণ করেছেন, শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর নামই নারীসত্তা। অভিনয়জগৎ থেকে ব্যক্তিগত জীবন—সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজের শর্তে বাঁচতে ভালোবাসেন। তাঁর এই বক্তব্য তাই অনেক নারীর কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে, যারা নিজের পরিচয় নিজেই গড়ে তুলতে চান।
সুস্মিতা সেনের কথায় আবারও স্পষ্ট, বিলাসিতা বা সম্পর্কের বাইরে গিয়ে একজন নারী যখন নিজের আর্থিক ও মানসিক স্বাধীনতা অর্জন করেন, তখনই তিনি সত্যিকারের শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। এই বার্তাই আজকের সময়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
আরপি/এসএন