সরকারের নজিরবিহীন ব্যর্থতার কারণেই সন্ত্রাসী ঘটনার বিস্তার ঘটছে বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদপত্র ও ছায়ানট ভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন—এসব সন্ত্রাসী ঘটনার দায়দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন সাইফুল হক।
তিনি বলেন, দুটি সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা পরিকল্পিত সন্ত্রাসী তৎপরতার অংশ।
এর লক্ষ্য দেশকে আরো নৈরাজ্য ও সংঘাত-সংঘর্ষের পথে ঠেলে দেওয়া, যাতে আগামী ফেব্রুয়ারীর জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট বানচাল হয়ে যায়। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট কোনোভাবেই ঝুঁকিতে নিপতিত করা যাবে না। যারা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায় তারা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের মানুষ নয়, তারা গণতন্ত্রেরও কেউই নয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের দুর্বলতা ও অকার্যকারিতার সুযোগ গ্রহণ করছে নানা স্বার্থান্বেষী চক্র।
পতিত ফ্যাসিস্টদের মতো এরাও উগ্র বলপ্রয়োগ ও জবরদস্তির মাধ্যমে নতুন আরেক ধরনের ফ্যাসিস্ট চিন্তা-চেতনা চাপিয়ে দিতে চায়। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অধিকার সচেতন মানুষ কোনো ধরনের জবরদস্তি ও উগ্রবাদিতাকে গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, এসব সন্ত্রাসী ঘটনার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও এই বার্তা যাচ্ছে—গণ-অভ্যুত্থানের দেড় বছর পরেও বাংলাদেশে নানা নামের চরমপন্থীরা বিপজ্জনকভাবে তৎপর। এদের তৎপরতার পেছনে সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদ দানের কথাও আলোচিত হচ্ছে।
তিনি অবিলম্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত গণপ্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।