ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী অন্যতম কণ্ঠস্বর শরিফ ওসমান বিন হাদির শহিদের সংবাদ প্রকাশের পর থেকে ফুঁসে ওঠে বাংলাদেশ। দ্রোহের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তারই অংশ হিসেবে হামলা হয় ছায়ানটে।
ছায়ানটে হামলায় অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতার দাবি ছায়ানট ভারতীয় দালাল তৈরি কারখানা সেই সাথে কালচারাল ফ্যাসিস্টও।
ছায়ানটে হামলার একদিন পর দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেওয়া নরেন্দ্র মোদির বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া হয়।
যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ, 'এমন এক দেশ যেখানে সঙ্গীতকে হারাম বলে দমন করা হয় আর নারীদের মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করা হয়। এক অন্ধকারময় সমাজ, যেখানে স্বাধীনতার বদলে চলে ভয় আর দমন।'
পোস্টে আরও বলা হয়, প্রিয় বাঙালি ভাই ও বোনেরা, এবার জেগে ওঠার সময় এসেছে, এগুলো কোনো দূর দেশের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমাদের একেবারে পাশের দেশেই, ঘর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই বর্বরতার আগুন জ্বলছে। সেই আগুনের আঁচ আজ এসে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে রাজ্যে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে উগ্রপন্থার অন্ধকার।
আজ যদি আমরা না জেগে উঠি, তবে কাল এই নৃশংসতার আগুন আমাদের ঘরেই এসে পৌঁছাবে।'
পিএ/টিএ