ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। হাদির দাফন ঘিরে ক্যাম্পাসে ভিড় না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির দাফন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরায় সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
এদিকে জানাজায় অংশ নিতে আসা হাজারো ছাত্র-জনতা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেছেন। মানিক মিয়া এভিনিউতে দীর্ঘক্ষণ সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করার পর সকাল সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনতাকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেন। এ সময় চীন থেকে আনা ৮টি আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
এমকে/টিএ