বড় বাজেটের ঝলকানি প্রচার বা হইচই না থাকলেও নীরবে শক্ত ভিত গড়ে তুলছে যুদ্ধভিত্তিক ছবি ব্যাটল অব গালওয়ান। দুই হাজার পঁচিশ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ছবি ঘিরে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই বাড়ছে কৌতূহল। অনেকের ধারণা, আলোচনার বাইরে থেকেই এটি হতে পারে বছরের অন্যতম চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনের গল্প।
দীর্ঘ পনেরো মাস পর পর্দায় ফিরছেন সালমান খান। শেষবার সিকান্দার মুক্তির পর থেকে তাকে দেখা যায়নি নতুন কোনো ছবিতে। এই বিরতিই দর্শকের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে। অতিরিক্ত উপস্থিতি না থাকায় প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।
এই ছবিটি সালমান খানের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে কম বাজেটের কাজগুলোর একটি। জয় হোর পর এত কম খরচে তাকে আর দেখা যায়নি। নির্মাতারা এবার বিশাল আয়োজনের বদলে গল্প আর আবেগের ওপর জোর দিচ্ছেন। কম বাজেট মানেই চাপ কম, আর সফল হলে লাভের অঙ্কও বড়।
প্রচারের ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে আলাদা কৌশল। বাড়তি উত্তেজনা তৈরি না করে ধীরে ধীরে আগ্রহ জাগানোর পথে হাঁটছে নির্মাতা দল। এতে মুক্তির আগ মুহূর্তে মুখে মুখে প্রচার ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যা দেশপ্রেমের ছবির ক্ষেত্রে বহুবার কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
এই ছবিতে সালমান খান পুরো মনোযোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্য কোনো প্রকল্পে জড়িত না থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। সহশিল্পীদের ক্ষেত্রেও রাখা হয়েছে ভারসাম্য। একক তারকা নির্ভরতা নয়, বরং শক্ত একটি দলগত অভিনয়ই ছবির বড় ভরসা।
বাস্তব ঘটনার ছায়ায় নির্মিত ব্যাটল অব গালওয়ান আবেগ আর দেশপ্রেমের জায়গায় ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারলে সব বয়সী দর্শকের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে পারে। নীরব প্রস্তুতির এই ছবিই শেষ পর্যন্ত দুই হাজার পঁচিশ সালের সবচেয়ে বড় চমক হয়ে উঠবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আইআর/টিএ