আশা পারেখ ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সফল নায়িকা ছিলেন। তাকে সেই সময়ে বলিউডের 'হিট গার্ল' বা 'জুবিলি গার্ল' বলা হত। তার অভিনয়, নাচ ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেন।
রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র, দেব আনন্দ, মনোজ কুমার, শাম্মী কাপুরের মতো কিংবদন্তী নায়কের সাথে অভিনয় করে অসংখ্য হিট মুভি দিয়ে স্বল্প সময়ে বলিউডের লাইমলাইট হয়ে ওঠেন আশা পারেখ।
অভিনয়ে তিনি সফলতার শীর্ষে পৌছাঁলেও ব্যক্তিগত জীবনে থেকে যান একা। গ্ল্যামারাস এই নায়িকা মন দিয়ে বসেন বিখ্যাত পরিচালক নাসিরউদ্দিন শাহকে। তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।
কিন্তু নাসিরউদ্দিন বিবাহিত হওয়ায় এই সম্পর্কে এগোয়নি আশা পারেখ। তার মতে, ‘আমি কারো ঘর ভাঙতে চাই না।’
তবে একাকীত্ব জীবন নিয়ে অনুশোচনা নেই আশা পারেখের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিয়ে না করা আমার জীবনে সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত ছিল।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে আশা পারেখ ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’র প্রথম নারী চেয়ারপার্সন হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন।
চলচ্চিত্রের বাইরেও আশা নিজেকে জনকল্যাণমূলক কাজে উৎসর্গ করেন। তিনি মুম্বাইতে, "আশা পারেখ হাসপাতাল" পরিচালনা করেন যা সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
আশা পারেখ 'কাটি পতঙ্গ', 'তিসরি মঞ্জিল', 'দো বাদান', 'ক্যারাভান', 'উপকার', 'আয়ে দিন বাহার কে', 'জাব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়', 'মেরা গাও মেরা দেশ', 'সমাধি' ও 'ম্যায় তুলসি তেরে অঙ্গন কি', ‘শিকার’ এর মতো অসংখ্য সফল ও জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা ও বহুমুখী অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এসকে/টিকে