নীলফামারীতে তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে, বাড়ছে শীতের দাপট

ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির ফোটার মত শিশির পড়ছে। দিনের বেলায়ও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।

সোমবার  (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ডিমলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষদের। অন্যদিকে তীব্র শীতের কারণে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশিরবিন্দু।

ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কের যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।

চৌরঙ্গী মোড় এলাকার রিক্সাচালক হালিম আলী বলেন, সকালে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু শীতের কারণে মানুষ গাড়িতে উঠছে না। সকাল থেকে আজকে খুব শীত পড়েছে।  

জলঢাকা উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড শীত আর কুয়াশা পড়েছে, কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়ছে।

ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর বলেন, আজকে সকালে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েদিনের থেকে আজকে তাপমাত্রা কমেছে। আগামী দিনে কুয়াশা ও শীতের দাপট বাড়বে।

নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শীতের কারণে জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করা শীত জনিত রোগে আক্তান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শীত বস্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়ানো হবে।

টিকে/টিজে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেঁতুলিয়ায় কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি Dec 22, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বাজেট বিপুল পরিমাণে বাড়ালেন ট্রাম্প Dec 22, 2025
img
লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেলেন বার্সা ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন Dec 22, 2025
img
জামায়াত কর্মীর ঘরে যমজ সন্তান, নাম রাখা হলো ওসমান-হাদি Dec 22, 2025
img
র‍্যাঞ্চো-রাজু-ফারহানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন ‘ইডিয়ট’ Dec 22, 2025
ভারত সফরে কত টাকা পেয়েছেন মেসি, উঠে এল তদন্তে Dec 22, 2025
আবু বকর (রাঃ) যেভাবে সময়ের ব্যবহার করতেন | ইসলামিক জ্ঞান Dec 22, 2025
সোনার দামের নতুন রেকর্ড, ভরিতে বেড়েছে এক হাজার ৫০ টাকা Dec 22, 2025
img
ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ Dec 22, 2025
img
চুয়াডাঙ্গা কাঁপছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় Dec 22, 2025
img
রজবের চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে মেরাজ ১৬ জানুয়ারি Dec 22, 2025
img
সারা দেশে আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস Dec 22, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ২৭ জন আটক Dec 22, 2025
img
বিপিএলের প্রস্তুতিতে মুখোমুখি রংপুর-রাজশাহী Dec 22, 2025
img
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা Dec 22, 2025
img
তারেক রহমানকে সংবর্ধনায় প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ Dec 22, 2025
img
নাইজেরিয়ায় মুক্তি পেল অপহৃত ১৩০ শিক্ষার্থী Dec 22, 2025
img
ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করল বাংলাফ্যাক্ট Dec 22, 2025
img
ঢাকাবাসীর জন্য বড় সুখবর মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জে Dec 22, 2025
img
মঞ্চ থেকে কারাগারের পথে মার্কিন র‍্যাপার Dec 22, 2025