আইএল টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে ফেললেও সাকিব আল হাসান ছিলেন বিবর্ণ। গতকাল (রোববার) বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নিজেকে ফিরে পেলেন। আবারো প্রমাণ করলেন ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেরা সাকিবকে দেখা গেল। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে দারুণ জয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরা হলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
ভাইপার্সের ওপেনার ফখর জামানকে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আইএল টি-টোয়েন্টি উইকেট পান সাকিব। তারপর স্যাম কারানকে ফেরান নিজের দ্বিতীয় ওভারে। চার ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দেন বাঁহাতি স্পিনার। কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি, ডট দিয়েছেন ১২টি।
১২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে সাকিব ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখেন। ৫৩ রানে চার উইকেট পড়ার পর ক্রিজে নেমে ১৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। তার একমাত্র চারে জয় নিশ্চিত হয় এমআই এমিরেটসের।
প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে। এনিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ বার ম্যাচের সেরা পারফর্মারের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। তাতে আন্দ্রে রাসেলকে পেছনে ফেলে এই বাঁহাতি তারকা অ্যালেক্স হেলস ও রশিদ খানের পাশে বসলেন।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে সাকিব। রশিদ ও হেলস যথাক্রমে ৫০৪ ও ৫২৪ ম্যাচ খেলে ৪৫ বার ম্যাচসেরা হন। আর সাকিব খেলেছেন ৪৬৫ ম্যাচ।
সাকিবদের উপরে আর কেবল আছেন তিন জন। ৪৮ বার ম্যাচসেরা হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কিয়েরন পোলার্ড। সবার উপরে আছেন ক্রিস গেইল। ৬০ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা।
এর আগে সাকিব ম্যাচসেরা হয়েছিলেন গত বছরের আগস্টে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ১১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মাত্র ২ ওভার বল করে। তারপর ২৫ রান করেন। তার হাতেই ওঠে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
পরে সাকিব আরও সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও মাত্র দুটি উইকেট নেন। এর মধ্যে পাঁচ ম্যাচেই ছিল উইকেটখরা।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সাকিব বলেছেন, ‘স্পিনের জন্য সহায়ক ছিল পিচ। ব্যাটিং করাও সহজ ছিল না। আমি জানতাম আমাদের দলে শক্তিশালী ব্যাটার আছে, যারা মারতে পারে। তাই আমি সতর্ক ছিলাম। সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট।’
এসকে/টিকে