এক সময় ছোট ও বড় পর্দায় নিয়মিত দেখা যেত মডেল ও অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দুকে। ২০০৬ সালে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সৌন্দর্য, স্বাভাবিক অভিনয় ও পর্দায় সাবলীল উপস্থিতির কারণে অল্প সময়েই দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন বিন্দু।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় দারুচিনি দ্বীপ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। পরে পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ, জাগো ও এই তো প্রেম– এর মতো ছবিতে কাজ করে বড় পর্দায় নিজের অবস্থান শক্ত করেন। এই তো প্রেম সিনেমায় সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করা ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকেও নিয়মিত দেখা গেছে তাকে।
একাধিক নাটকে আরেফিন শুভর সঙ্গে বিন্দুর জুটি দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পর্দায় তাদের রসায়ন যেমন প্রশংসিত হয়, তেমনি বাস্তব জীবন ঘিরেও একসময় প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৪ সালের পর দীর্ঘ সময় পর্দার আড়ালে চলে যান বিন্দু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছিলেন অনুপস্থিত। প্রায় এক দশক পর ২০২৩ সালে 'উনিশ২০' নামের একটি ওয়েব ফিল্মে আবারও আরেফিন শুভর সঙ্গে দেখা যায় তাকে। কাজটি দর্শকের প্রশংসা পেলেও এরপর আবারও নীরব থাকেন তিনি।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে নিজের অভিনয়জীবন ও ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিন্দু। তিনি জানান, শুভর সঙ্গে তাঁর পর্দার রসায়ন ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিন্দুর ভাষায়, 'এই বোঝাপড়াটা এসেছে একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস আর কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকে।'
শুভর সঙ্গে প্রেম ভাঙার প্রসঙ্গে সঞ্চালকের প্রশ্নে কিছুটা ইতস্তত হয়ে বিন্দু বলেন, 'আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম…এই প্রশ্নটা সত্যিই বিপজ্জনক।' পরে তিনি যোগ করেন, 'কেন সম্পর্ক ভেঙে গেল—এর কোনো নির্দিষ্ট উত্তর আমার কাছেও নেই। সব সম্পর্ক একই গন্তব্যে গিয়ে শেষ হবে, এমন তো নয়। আমরা তখন কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম।'
ভবিষ্যতে আবার শুভর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানান বিন্দু। তাঁর মতে, সুযোগ ও পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এই জুটিকে আবারও পর্দায় দেখতে আপত্তি নেই তাঁর। দীর্ঘ নীরবতার পর বিন্দুর এই খোলামেলা উপস্থিতি নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। নিয়মিত অভিনয়ে তিনি ফিরবেন কি না—সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দর্শক।
কেএন/টিকে